এদিন মোহন ভগবত বলেন, "আজ এই অনুষ্ঠান হচ্ছে, কলকাতায় প্রতি বছর হয়। আগেও শ্যামবাজারে হয়েছে। আজ সংঘ বড় হয়েছে। মানুষের কাছে সবথেকে দামি হল মেধা। সংঘ প্রচারের আশায় কোনও কাজ করে না। আমাদের গোটা সমাজকেই এরম বানাতে হবে। সমাজে ভেদাভেদ করলে চলবে না। আমাদের কোনও স্বার্থ নেই। আমাদের কোনও ভোটে জেতার প্রয়োজন নেই।"
advertisement
নেতাজির সম্পর্কে মোহন ভগবত বলেন, "এত পড়ালেখায় অনেক রোজগার করতে পারতেন। তিনি দেশের বাইরে গিয়ে সেনা হয়ে সারাজীবন দেশের হয়ে কাজ করেছেন। উনি অপেক্ষা করেননি, কিছু পাননি। নেতাজি বলি কারন নেতৃত্ব গুন ছিল। সবার সঙ্গে থেকে নেতৃত্ব দিতেন। ত্যাগী, গুনী ছিলেন। যুদ্ধও করতে হয়েছিল। সময়ে ভাগ্যচক্র ঠিক চললে নেতাজি ভারতে ঢুকে আগে চলে আসত।"
ভাগবত বলেন, "নেতাজিকে স্মরণ করা আমাদের কর্তব্য। নেতাজির অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। প্রথমে তাঁরা আইন মেনেই স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন। কিন্তু পরে যখন নেতাজি দেখলেন সেই পথে কাজ হচ্ছে না, তখন তিনি সশস্ত্র পথ বেছে নেন। এই দুই রাস্তা আলাদা হতে পারে। কিন্তু গন্তব্য একই ছিল। নেতাজির দৃষ্টিভঙ্গিকে বুঝতে হবে। নেতাজির দেখানো গন্তব্যই আমাদের গন্তব্য। আরএসএস-এ আমরা তো সেটাই করি। ভারত বিশ্বে অবদান রাখতে পারে, এমন ভাবে দেশ তৈরি করাই ছিল সুভাষ বাবুর লক্ষ্য।'
আরও পড়ুন, উন্নয়ন ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা
আরও পড়ুন, ধর্মতলায় অশান্তি! নওশাদ-সহ ১৯ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করল ব্যাঙ্কশাল আদালত
তিনি বলেন, "সব গুণ হওয়া দরকার। ওনার স্বপ্ন সেটাও পূরন করতে হবে। যে রাস্তা আছে সেটা পার করার জন্য নিজের গুনের প্রয়োজন। গন্তব্য পর্যন্ত যাবার জন্য গুন আছে কিনা গুরুত্বপূর্ণ। নেতাজির যা গন্তব্য, আমাদেরও একই গন্তব্য। আমরা সংঘের ওই কাজটাই করি।"