সূত্রের খবর, বন্দর এলাকার প্রতিটি রাস্তার হাল ফেরাতে চান চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। তাই ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি বরদাস্ত করবেন না বলে বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগে বন্দর এলাকার একটি রাস্তায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাম পেয়ারে রামের ছেলের৷
ওই দুর্ঘটনার জন্য বন্দরের বেহাল রাস্তাকেই দায়ী করা হয়৷ দুর্ঘটনার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে দু’জন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় ও এক জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে লোকাল! শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের বিরাট সুখবর দিল রেল
এ বার থেকে প্রতিটি রাস্তার হালহকিকত জানতে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত পরিদর্শনে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান।রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে পদস্থ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। তাঁর নির্দেশে ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি বন্দর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেন। তার পরেই গত সোমবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দরের অধীনে রয়েছে ৩৩টি রাস্তা। এর মধ্যে কাঁটাপুকুর মেন রোড, ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোড, কোল ডক রোড, অয়েল ইনস্টলেশন রোড, ট্রান্সপোর্ট ডিপো রোড, স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড, হেলেন কেলার সরণি, হাইড রোড এবং সিক লেনের সংস্কার করা হচ্ছে।
৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম পেয়ারে রাম জানিয়েছেন, ‘‘বন্দরের গাফিলতির জেরেই আমার ছেলেটা অকালে মারা গেল। ওরা রাস্তা সংস্কারের কাজ আরও আগে করলে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না।’’
উল্লেখ্য, ওই রাতে খানাখন্দে ভরা রাস্তায় মালবোঝাই একটি ট্রাক গর্তে পড়ে রাম পেয়াে রামের ছেলে রামকিঙ্করের গাড়ির উপরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। আপাতত গোটা রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। সারানো হচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থাও৷ বন্দরের গাড়ি ছাড়া কোনও আলাদা গাড়িকে ওই রাস্তায় পার্কিংও করতে দেওয়া হচ্ছে না।