বুধবার দুপুর দুটো থেকে আমাফানের ধ্বংসলীলা শুরু হয়। সেই ধ্বংসস্তূপে এখনও চাপা পড়ে কলকাতার শখ, আহ্লাদ, আবেগ। একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। ৪৮ ঘণ্টা পরেও বিদ্যুৎহীন শহরের একাধিক অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় রেফ্রিজারেটর বন্ধ, এয়ারকন্ডিশন বন্ধ, বন্ধ রান্না ঘরের চিমনি। মোমবাতির আলোয় কোনওমতে ঘর-গেরস্থালি সামলাতে সামলাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন মানুষ।
advertisement
দু' দিন অপেক্ষার পর তাই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। আর তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতা জুড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। টালিগঞ্জ থেকে বেহালা চৌরাস্তা যাওয়ার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রাজা রামমোহন রায় রোড। এ দিন দুপুর থেকে একাধিকবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল সেই রাস্তা। মুচিপাড়া মোড়, মদনমোহন তলা মোড়, এমনই বিভিন্ন জায়গায় অবরোধের সামিল হলেন এলাকার মহিলারাও। প্রত্যেকেরই বক্তব্য একটাই, ২দিন অপেক্ষা করেছি এরপরও কেন বিদ্যুৎ আসবে না বা রাস্তার গাছ সরানো হবে না?
অবরোধকারীদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় থানা থেকে ফোন ধরে নূন্যতম যোগাযোগ টুকুও করা হয়নি! সিইএসসি কখন বিদ্যুৎ আসতে পারে তার আভাস পর্যন্ত দিতে পারেনি! ফলে ক্ষোভ বাড়ছিল ক্রমশ। যার বিস্ফোরণে শুক্রবার পথ অবরোধে সামিল সাধারণ মানুষ।
বেহালা চৌরাস্তার কাছেই পিস পার্ক। রাজা রামমোহন রায় রোডের একপাশে বেহালা থানা এলাকা আর অন্যপাশে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকা। রাস্তা পরিষ্কার ও বিদ্যুতের দাবিতে দুপুর থেকে অবরোধে সামিল হন এই এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার রাত নটা পর্যন্ত অবরোধ ওঠেনি। সজল দাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ আরও মারাত্মক, 'রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কন্ট্রোল রুমে ফোন করি। তারা কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমে ফোন করার পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মেনে সেখানে ফোন করার পর কেটে ৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে৷এখনও এলাকা বিদ্যুৎহীন, বাড়ির সামনে গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ।'
ARNAB HAZRA