তাদের আশঙ্কা যেভাবে গঙ্গা নদী, তার শাখা প্রশাখা নদী ও ছোট বড় জলাশয় ধ্বংস হচ্ছে তাতে একটা সময় এসে সবাই জলের সংকটে পড়বে। রাজা রামমোহন লাইব্রেরি হলে শনিবার দুপুরে নদী নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাঁরা একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক নদী কর্মী কল্লোল রায় জানালেন, ‘’ভারতের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষকে নদীর ওপর বিভিন্নভাবে নির্ভর করতে হয়। নদীর প্রবাহকে কোথাও বেঁধে ফেলা হচ্ছে। কোথাও বা ধ্বংস করা হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গা নদী দিয়ে মানুষ হেঁটে বেড়াচ্ছে। যা খুবই আতঙ্কের বিষয়।’’
advertisement
নাগরিক উন্নয়নের ফলে, একে একে ছোট. বড় জলাশয় থেকে আরম্ভ করে ছোট, বড় নদী ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।তা নিয়ে আজ বিশেষজ্ঞদের দাবি ছিল,কেউ কি জানে মাটির তলের জলস্তর কত নিচে নেমেছে? যার ফলে, এই বাংলারই বেশ কয়েকটি জেলায় জলের সঙ্গে আর্সেনিক ওঠা শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অন্যান্য জেলাতেও আর্সেনিকযুক্ত জল ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন মানুষকে জল খেতে গেলে রাজ্য নয়, ভিন রাজ্য থেকে জল আনাতে হবে। জলের অভাবে বছরে অন্ততপক্ষে দুমাস মানুষকে জল কিনে স্নান করতে হবে।এমনও দিন অদূর ভবিষ্যতে আসতে চলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু প্রদেশের বরফ গলা শুরু হয়েছে।
তবে সারা ভারত জুড়ে গঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন চললেও, এখনও পর্যন্ত কোন সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।যা জলাশয় কিংবা নদী বাঁচাও-র এর পরিকল্পনা হিসেবে কাজে লাগে। গঙ্গা মহাসভা’র তরফ থেকে দাবি ,যদি সরকারের তরফ থেকে এখনো কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। তাহলে ভবিষ্যতে নদীমাতৃক দেশেও জলের অভাবে ভুগবে মানুষেরা।
Shanku Santra