হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতুর দৈর্ঘ্য ৪০৫ মিটার এবং প্রস্থ ২১.৬ মিটার। এটি ১৯৪৩ সালে উদ্বোধনের পর থেকে কলকাতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯৩৭-এ ব্রিজ তৈরি শুরু হয়, কাজ শেষ হয় ১৯৪২-এর অগস্টে। ১৯৪৩-এর ৩ ফ্রেব্রুয়ারিতে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে হাওড়া ব্রিজ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ প্রতিদিন ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রায় ১,৫০,০০০ জন পথযাত্রী এবং ১,০০,০০০ গাড়ি চলাচল করে থাকে। ২০০৪ পর্যন্ত এই ব্রিজের তেমন কোনও খুঁত পাওয়া যায়নি। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হিসাব বলছে, হাওড়া সেতুর উপর দিয়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মিনিটে ৫৫০ টি গাড়ি যায়। তাই এটার গুরুত্ব অন্য সেতুর তুলনায় সর্বাধিক। বর্তমানে গাড়ির চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে শতাব্দী প্রাচীন এই হাওড়া ব্রিজের অবস্থা কীরকম রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।
advertisement
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সূত্রে খবর, মূলত হাওড়া ব্রিজের লোহার কাঠামোর প্রতিটি কোণা এবং অন্য অংশ পরীক্ষা করাই এই স্বাস্থ্য অডিটের মূল উদ্দেশ্য। ইতিমধ্যেই হাওড়া ব্রিজের ভার কমাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেতুর ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পুরনো ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের স্তর সম্পূর্ণ ভাবে তুলে ফেলে ২৫ মিলিমিটার পুরু একটি আস্তরণ দেওয়া হবে। প্রায় ৬০০ মিটার দীর্ঘ এবং ২৩ মিটার চওড়া হাওড়া সেতুর প্রস্থের গোটা অংশ জুড়েই এই কাজ হবে।