দীর্ঘ দু দশকেরও বেশি সময় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঋতব্রত। একটানা আট বছর সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহধন্য হওয়ায় রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ আর তারপর থেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা। আর এবার একেবারে দলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
advertisement
আর নতুন দায়িত্ব হাতে পাওয়া মাত্রই দলনেত্রীর বিষয়ে বলতে গিয়ে ঋতব্রত বলেন, 'আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন আসল বামপন্থী। কারণ অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা কাজ করেছেন, সেই কাজগুলো আসলে বামপন্থীদের করার কথা ছিল।' প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে দলীয় সংগঠনের পাশাপাশি গত এক বছর মূলত শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে কাজ করেছেন ঋতব্রত। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলোতেও নাগাড়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
নিজের বিষয়ে বলতে গিয়ে ঋতব্রত জানিয়েছেন, চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য এই সরকার যা করছে, তা অভাবনীয়। চা শ্রমিকদের জন্য ৩৯৩ স্কোয়ার ফিটের ২ লক্ষ ৬৪ হাজার কোয়ার্টার বানানো হচ্ছে। ২০১১ সালে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি যেখানে ছিল ৬৭ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০২ টাকা।
যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের সমর্থনেই এই দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ। আর সেই কারণেই ঋতব্রতর উপর ভরসা করছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।