ফিরল না ঋষভ। কাজে এল না ECMO। মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরেই মৃত্যু। শুক্রবার রাতেই সংকট আরও গভীর হয়। শেষ চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের ছোট্ট শরীরটা আর সাড়া দিল না।
স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল ঋষভ সিং। সুস্থ অবস্থায় মায়ের সঙ্গে সেই শেষ দেখা। বাবা তুলে দিয়েছিলেন পুলকারে। হাত নেড়ে ছোট্ট ঋষভ উঠে গিয়েছিল শেখ শামিমের পুলকারে। স্কুলে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উলটে যায় পুলকার। তড়িঘড়ি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। কিন্তু ঋষভ ও দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায়, গ্রিন করিডর করে তাদের আনা হয় এসএসকেএমে। সেদিন থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি ঋষভের।
advertisement
ঋষভের মৃত্যুর খবর বিশ্বাসই হচ্ছে না সৌযার্ভের বাবা পদ্ননাভ ভট্টাচার্যের। প্রতিদিন একই পুলকারে ছেলের সঙ্গে যাতায়াত করত ঋষভ। দুর্ঘটনার দিনও দু'জন একসঙ্গে ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেনেই যাতায়াত করছে সৌর্যাভ, বললেন পদ্মনাভ ভট্টাচার্য। বন্ধু ঋষভকে খুব মিস করে সৌর্যাভ । পুলকারে বন্ধুর খুব রক্ত পড়ছিল। আর কোনওদিন পুলকারে স্কুলে যাবে না বলছে সৌর্যাভ ভট্টাচার্য। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলকার দুর্ঘটনার সময়ে ঋষভের সঙ্গেই ছিল সৌর্যাভ।