বাজি হাতে ফেটে হাতের ভেতরে ভয়ংকর ক্ষতি হয় তাঁর। সেখান থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আশঙ্কা করা হলেও আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় এখন সুস্থ সুমন অধিকারী।
আরও পড়ুন- পাকিস্তান জেতায় ভারতের সেমিফাইনাল অঙ্ক কি কঠিন হয়ে গেল? জেনে নিন
হাতে বাজি ফাটার পর সুমন অধিকারীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে নিয়ে যান বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
advertisement
চিকিৎসকদের পরমর্শে পরিবারের সদস্যরা সুমন অধিকারীকে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রথমে আপৎকালীন বিভাগে দেখানো হয়। তারপর জেনারেল সার্জারি, ভাস্কুলার সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর ক্ষত দেখেন।
বাইরে থেকে তেমন কোনও ক্ষত না তৈরি হলেও, ভিতর থেকে ৬ ইঞ্চির মতো ব্লাস্ট ওয়েব তৈরি হয়। যার ফলে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলেন, ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হচ্ছে। আর্টারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর।
এর পর চিকিৎসকরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর পা থেকে শিরা কেটে ক্ষতিগ্রস্ত আর্টারিকে রিপ্লেস করা হবে। সেই মতো শিরা প্রতিস্থাপন করা হয়। আর এই চিকিৎসাই ফলপ্রসূ হয়। এরপর কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় সুমন অধিকারীকে।
আরও পড়ুন- যাঁকে এতদিন খেলায়নি পাকিস্তান, তিনিই রাবাডাকে পিটিয়ে ছাতু করলেন
বর্তমানে ওই রোগী স্বাভাবিকভাবে আর পাঁচটা মানুষের মত হাত নাড়তে পারছেন। কোনও ধরনের অসুবিধা নেই তাঁর। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যদি কিছু সময় অপেক্ষা করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হত , তাহলে হাত কেটে বাদ দিতে হত। এমনকী প্রাণ সংশয় হওয়ার আশঙ্কা ছিল সুমন অধিকারীর। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াতেই এত বড় অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।