বিচারক ঢুকেই বলেন, ‘একটু শান্ত থাকুন। কোর্টকে শুনানি করতে দিন। আসামি ডাকুন’। দোষী সঞ্জয় রাইকে বিচারক পরিবারের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাকে বলেছিলাম দোষ প্রমাণিত। সর্বোচ্চ শাস্তি বলি ফাঁসি হতে পারে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আপনার বাড়িতে কে কে আছে? তারা যোগাযোগ করে আপনার সঙ্গে? বাড়ির লোক যদি চাইতো আপনার সঙ্গে জেলো দেখা করতে, তা করেনি।’
advertisement
আরও পড়ুন: ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে PhD করা যাবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি ইউজিসি-র
দোষী সঞ্জয় বিচারককে জানায়, ‘বাড়িতে মা রয়েছে। আমি নির্দোষ স্যার।’। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘দেশজুড়ে এই ঘটনার অভিঘাত ছড়িয়েছে। এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম মেধাবী ডাক্তারকে হারিয়ে। যে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গিয়েছিল হাসপাতালে, তাঁকে এভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিজিবি-কে ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে জবাব ভারতের, চরম হুঁশিয়ারি বিএসএফ-এর! ছিঁড়ে খাবে ‘ম্যাক্স’
সিবিআইয়ের দাবি, ‘বিরলতম ঘটনা, সর্বোচ্চ শাস্তি দিক আদালত। আগামী দিনে কারও সন্তান বাড়ি থেকে বেরোলে কী হবে? এমন শাস্তি দেওয়া হোক যাতে সমাজে এই ভরসা ছড়ায় আগামীদিনে সব সন্তান বাড়ি থেকে বেরোতে সাহস পায়।’ যদিও সঞ্জয় রাইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়৷ আসামিকে শোধরানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বারবার বলেছে সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায়।’
পাল্টা বিচারকের প্রশ্ন, ‘আপনি বলছেন দেশে মৃত্যুদণ্ডের রিফরমেটিভ সংস্কারের কথা?’ সঞ্জয়ের আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তীর দাবি, ‘নূন্যতম নথি নিয়ে সন্দেহ থাকলে। ধারনার বশবর্তী হয়ে কোনও সাজা হয়ে থাকলে তা বিবেচনায় আরও আনা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায় বলেছে, আমাদের এই কেসেও সেরকমই বিষয় লুকিয়ে।’
অমিত সরকার