গত রবিবার রাতে মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৩৮ বছর বয়সি চিকিৎসক শুভজিৎ আচার্যের৷ সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ শুভজিৎ আরজি কর হাসপাতালের এসএনসিইউ বা স্পেশ্যাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট-এর মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন৷ তাঁর স্ত্রীও একজন দন্ত চিকিৎসক৷ মধ্যমগ্রামের একটি অভিজাত আবাসনে থাকতেন শুভজিৎ এবং তাঁর স্ত্রী৷ বর্তমানে তিনি সন্তানসম্ভবা৷
advertisement
তরুণ এই চিকিৎসকের মৃত্যুর পর জানা যায়, ওই চিকিৎসক হৃদরোগ আটকানোর অন্তত চল্লিশ-পঞ্চাশটি ওষুধ একসঙ্গে খেয়ে ফেলার ফলেই শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এমন কি, গত কয়েক মাস ধরে তিনি অবসাদ কমানোর ওষুধ খাচ্ছিলেন বলেও জানা যায়৷
যদিও ছেলে কোনও অবসাদে ভুগছিলেন না বলে সোমবারই দাবি করেন মৃত চিকিৎসকের বাবা৷ পরিবারেও কোনও সমস্যা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি৷ মৃত ওই চিকিৎসকের সতীর্থ চিকিৎসক এবং সহকর্মীরাও এ দিন দাবি অবসাদের তত্ত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ বরং নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন, গত কয়েক মাসে বরং অনেক বেশি হাসিখুশি ছিলেন শুভজিৎ৷ মিশুকে স্বভাবেরও ছিলেন তিনি৷
মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের আরও দাবি, করোন অতিমারির সময় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ডিউটি করেছিলেন শুভজিৎ৷ আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর চিকিৎসকদের আন্দোলনের সময়ও ওই হাসপাতালেই টানা ডিউটি করেছেন তিনি৷ সেই সময় বরং কাজের অনেক বেশি চাপ সামলেছেন তিনি৷ গত কয়েক মাসে সেই চাপও কমে এসেছিল৷ তার পরেও শুভজিতের মতো হাসিখুশি একজন মানুষ অবসাদ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাবেন বা চিকিৎসক হয়েও একসঙ্গে অনেকগুলি ওষুধ খাওয়ার ভুল করবেন, তা মেনে নিতে নারাজ মৃত চিকিৎসকের সহকর্মী এবং সতীর্থরা৷
কীভাবে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হল, তা জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ সেই রিপোর্ট এলে রহস্যের জট অনেকটাই কাটতে পারে৷
