সঞ্জয়ের সঙ্গে কী দেখা করতে যাবেন? জবাবে তিনি বলেন, “এখন আর কী করতে যাব? আইন যা বলবে তা-ই ঠিক। আইনের যা মনে হবে, আইন তাই করবে। আইনের উপরে কেউ নয়। তাই, আমি বলার কেউ নই। আইনের মনে হলে ফাঁসি দেবে। তবে আমি গিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করব না।ভাগ্যে যা আছে তাই হবে।এটা হওয়া উচিত ছিল না। তবু হল।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমার রক্তের জোর আছে, ওইটুকু ছেলে একা সব করেছে?’ প্রশ্ন সঞ্জেয়র মায়ের
দীর্ঘ ১৬২ দিনের অপেক্ষার পরে অবশেষে ঘোষণা হল আরজি কর মামলার রায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ২২০ নম্বর কোর্ট রুমে বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করেন। আরজি করের ঘটনায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘আমার রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে যেত!’ শাস্তি এড়াতে চেষ্টা, বিচারককে কী বলল সঞ্জয়?
একাধিক তথ্য পেশ করা হয় আদালতে। ওই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী অমর্ত্য দে রায় ঘোষণার আগে বলেছিলেন, ‘‘যে বা যাঁরা এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা প্রত্যেককেই যেন আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।’’ তবে কী সাজা সঞ্জয় পাবে, তা জানা যাবে সোমবার।
RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর কাণ্ডে আজ সাজা ঘোষণা! শিয়ালদহ আদালত যেন দুর্গ, আরও বড় লড়াইয়ের ইঙ্গিত নির্যাতিতার বাবা-মা’র
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ, চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর পেরিয়েছে ১৬২ দিন। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার সেই ধর্ষণ-খুনের মামলায় রায় ঘোষণা হল শিয়ালদহ আদালতে।