সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান,” রাত দখলের দিন দুষ্কৃতীরা আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায়। চিকিৎসকদের নাম ধরে ধরে মারতে যায়। প্রমাণ লোপাটের জন্যই তারা এসেছিল।” জুনিয়র চিকিৎদের প্রশ্ন, ”আমাদের নিরাপত্তার দায় কার? বর্তমান প্রিন্সিপাল পুলিশের মত দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। প্রিন্সিপাল আমাদের বলেন, তিনি নাকি হাসপাতালে নিরাপদ নন, স্বাস্থ্য ভবন থেকে কাজ চালাবেন। এটা হতে পারে না! প্রিন্সিপাল-ই যখন নিরাপদ বোধ করছেন না, আমরা নিরাপত্তা কীভাবে পাব?”
advertisement
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে জমায়েত করা হবে। তাঁদের কথায়, ” ফুটবল প্রেমীদের জন্য আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল।” পাশাপাশি,তাঁদের উষ্মা, ” রাত্তিরের সাথী একটা মধ্যযুগীয় সিদ্ধান্ত। মেয়েদের ঘরে আটকে রাখার এই রক্ষণশীল নিয়ম আমরা মানছি না। যেখানে রক্ষক আমাদের নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ, সেখানে আমরা কীভাবে কাজে ফিরব? যতদিন না আমরা ক্ষিণতম সুরক্ষার আশ্বাস পাচ্ছি,ততদিন আমরা কাজে ফিরতে পারছি না।”
ইতিমধ্যে সামনে এসেছে চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট। শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসককে৷ ওই চিকিৎসককে যে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল, ময়নাতদন্তে তারও প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে প্রচুর আঘাতে চিহ্ন রয়েছে৷ নির্যাতিতার ঠোঁট, মাথা, নাক, চিবুক, গলা, বাঁদিকের ঘাড়, বাঁ হাত, গোড়ালিতেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ তাছাড়াও নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ভিতরেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ নির্যাতিতার ফুসফুস এবং শরীরে ভিতরে অন্যান্য অংশেও রক্ত জমাট বেঁধে থাকার প্রমাণ মিলেছে৷
সোমবার-ই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলে যোগ দিয়েছেন সিবিআই অফিসার সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। যদিও এখন-ও পর্যন্ত সিবিআইকাউকে গ্রেফতার করেনি।