বামেদের নবান্ন অভিযানে এভাবেই আক্রান্ত হন সাংবাদিকরা। অ্যাডিশনাল সিপি বিনীত গোয়েলের সামনেই সাংবাদিকদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযুক্ত আইপিএস অপরাজিতা রাই, মুরলীধর সহ একাধিক পুলিশ অফিসার। সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দায় সরব হন সকলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।
পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের উদ্যোগে রবীন্দ্র সদন থেকে লালবাজার পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলে সামিল কলকাতার আপামর সাংবাদিককূল'গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর আক্রমণ। এ কেমন ধরনের গণতন্ত্র'। 'WE WANT JUSTICE' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে হাঁটলেন সাংবাদিকরা।
advertisement
বেনটিঙ্ক স্ট্রিট পৌঁছনোর পর সেখানেই অবস্থানে বসেন সাংবাদিকরা। ঠিক হয় সাংবাদিকদের হয়ে সাতজন প্রতিনিধি যান কমিশনার রাজীব কুমারের কাছে ডেপুটেশন দিতে।
কেন এই লাঠিচার্জ? প্রতিনিধিদের তরফে রাজীব কুমারের কাছে নির্দিষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়।
-প্রশ্ন- লাঠিচার্জে কী ব্যাখ্যা পুলিশের?
-উত্তর-কোনও ব্যাখ্যা নেই। যা হয়েছে তা ঠিক নয়
প্রশ্ন-কাউকে চিহ্নিত করা হয়েছে?
উত্তর-আমরা প্রচুর ফুটেজ পেয়েছি। চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন-দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর-২৫ মে'র পর আক্রান্ত সাংবাদিকদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। দু'জনের বয়ান মিলিয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
প্রশ্ন-পুনরাবৃত্তি রুখতে কী ব্যবস্থা?
উত্তর-পুলিশ সাংবাদিকদের জ্যাকেট দেবে বা হাউজকে বলা হবে জ্যাকেট দিতে। যাতে পুলিশ না বলে চিনতে না পেরে মেরেছি।
পুলিশ কমিশনারের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত সাংবাদিকরা।