রাজ্যের নতুন বন মন্ত্রী হিসাবে মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দফতরের দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি মনে করি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা দরকার। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে দফতর নিজের হাতে না রেখে কোনও একটা সার্ভিস কমিশন এর দায়িত্ব নিক। সূত্রের খবর রাজ্য চাইছে এই নিয়োগ হোক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। রাজীব বন্দোপাধ্যায় বনমন্ত্রী থাকাকালীন অভিযোগ ওঠে বন সহায়ক নিয়োগ ঘিরে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বনবস্তির বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই যাঁরা স্বেচ্ছায় বন-জঙ্গল রক্ষার কাজ করছেন, সুবিধা পাবেন তাঁরাও। কিন্তু এই নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতা রেঞ্জ, জলপাইগুড়ির খুনিয়া রেঞ্জ, ময়নাগুড়ির রামশাই রেঞ্জ, গরুমারা নর্থ রেঞ্জ-সহ অধিকাংশ জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভও হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই বনবস্তিবাসীরা চাকির পাননি। অথচ শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাও অনেকে চাকরি পেয়েছেন। যদিও নতুন বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন সহায়ক দূর্নীতি ঘিরে যে অভিযোগ এসেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। আমার এই বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রকৃত সত্য সামনে আসুক। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘কোন কোন তৃণমূল নেতার কাছ থেকে সুপারিশ এসেছিল, সেই সব তথ্য আমার কাছে আছে। প্রয়োজনে সব দিয়ে দেব।’’গত ১০ বছর ধরে খাদ্য দফতর সামলেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এবার বন দফতরের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তিনি। দায়িত্ব নিয়েই তিনি দফতরের আয় বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন। সে কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বন বাংলোগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বলেছেন। প্রয়োজনে পর্যটন দফতরের সাহায্য নিয়ে সেই কাজ করতে বলেছেন। এর পাশাপাশি জঙ্গলের উৎপাদিত দ্রব্য যথা মধু, সিট্রোনেলা তেল বিপনণে জোর দিতে বলেছেন। এমনকি বনের কাঠ বিক্রিতেও দফতরকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।
