রোগীর আত্মীয়দের হাতে আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায় । সোমবার রাতে এনআরএসের এই ছবি চমকে দেয় বাংলাকে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে স্তব্ধ হয়ে যায় সব সরকারি হাসপাতাল। মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতালে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই সুস্থ পরিবহ। হাসপাতালের বেডে পরিবহর ভিডিও এখন ভাইরাল।
ছোট থেকেই মেধাবী। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে ডাক্তারি পাশ করেন হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা পরিবহ। বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। স্কুলের পরীক্ষায় কখনও দ্বিতীয় হননি। উচ্চমাধ্যমিকেও হাওড়া জেলায় প্রথম। অল ইন্ডিয়া মেডিক্যালে ১১৮ র্যাঙ্ক । পরিবহকে ঘিরে সীমিত সাধ্যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পরিবার। সেই স্বপ্নের রং আজ ফিকে।
advertisement
পরিবহর পরিণতি মানতে পারছে না পরিবার। তাঁরা চান, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। তবু এই বিপদের মধ্যেও তাঁদের আরজি, স্বাভাবিক হোক চিকিৎসা পরিষেবা। অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ করুক সরকার।
ছোটবেলা থেকে পরিবহকে পড়িয়েছেন বিশ্বনাথ পাড়ুই। ছাত্রের জন্য চিন্তা বাড়ছে। বাড়ছে ক্ষোভও। কেন হল, কিভাবে হল .....কাটাছেঁড়ায় উৎসাহ নেই। এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারের শিক্ষক চান, সমাজের স্বার্থে সুস্থ থাকুক পরিবহরা। হাসপাতালে যেতে পারেননি অসুস্থ বাবা-মা। সুস্থ পরিবহর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় এখন তাঁরা। দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে নতুন ভোরের আশায় ডোমজুড়ের মুখার্জিপাড়াও।