নারদা কাণ্ডে (Narada Scam) সরাসরি অভিযুক্ত নন রত্না৷ কিন্তু স্বামী গ্রেফতার হতেই ছুটে যান সিবিআই দফতরে। নিজাম প্যালেসে ঢোকার সময় বেহালা পূর্বের বিধায়ক জানান, “বেশি কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের পরামর্শ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ।” ঘণ্টা তিনেক দফতরে থাকার পরে যখন বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বেরিয়ে যান, তখন বলেন, "আমি বাড়ির লোক হিসাবে এসেছিলাম। অন্য কোনও কারণে নয়। কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।" তবে এ দিন শোভনের গ্রেফতারির পরে রত্নার CBI দফতরে যাওয়ার পরই খোঁজ শুরু হয় বৈশাখীর? নিউজ ১৮ বাংলা ডিজিটালকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে জানান তিনি নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন। এরপর বলেন, "একদিকে গণতন্ত্রের চরম অপমান করল বিজেপি। অপরদিকে, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী এসে সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা একটা নিদর্শন। এ রাজ্যের কারও উপর আক্রমণ নেমে এলে যে তিনিই এগিয়ে আসবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। "
advertisement
নারদা কাণ্ডের তদন্তে এ দিনই রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ আজই তাঁদের আদালতে তোলা হবে৷ বর্তমানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ নারদা কাণ্ডের তদন্ত চলাকালীনই দু'জনের সম্পর্কে অবনতি হয়৷ যে সময়ে নারদা কাণ্ডে শোভনের নাম জড়ায়, তখন তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন৷ পরে দলত্যাগ করে বিজেপি-তে যোগ দেন শোভন৷ যদিও প্রার্থী হওয়া নিয়ে মতান্তরের জেরে বিজেপি-র সঙ্গেও সম্পর্ক ত্যাগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷
তবে একা রত্না চট্টোপাধ্যায় নন, ইতিমধ্যে সিবিআই দফতরে সকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে, মদন মিত্রের ছেলেও৷ প্রত্যেক নেতার আইনজীবীরাও রয়েছেন সিবিআই দফতরে৷ সিবিআই দফতরে গিয়ে রয়েছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও৷