যদিও বিধায়ক রত্না বলছেন, ‘‘আগেও মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্যে কাজ করেছি। আজও মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্যে কাজ করব।’’ শোভন চট্টোপাধ্যায়'র সাথে দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্ক নেই তার ওয়ার্ডের৷ শোভনের ওয়ার্ডের কাজ সামলান রত্না চট্টোপাধ্যায়। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসাবে তার অভ্যাস হয়ে গেছে কাজ করার। যা অনেকটা রিহার্সালের মতো। অবশ্য দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি শোভনবাবুকে দেখে আসছেন জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ সামলাতে। মন্ত্রী হিসাবে সামলানোর কাজ তিনি সামনে থেকে দেখেছেন। ফলে জোড়া ফুল শিবিরের নব নির্বাচিত বিধায়ক সামলে নিতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী। এই নির্বাচনে শোভনবাবুর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা করতে চান না রত্না। তার আগ্রহ নেই সেই বিষয়ে। তার সাফ উত্তর, "শোভনবাবুকে দেখেছি কাউন্সিলর, বিধায়ক, মন্ত্রী থাকতে। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ কী, পদ্ধতি কী, সে ব্যাপারটা আমি জানি।" শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অত্যন্ত স্নেহ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার প্রিয় কাননের ভোল বদল নিয়ে তিনিও ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সেভ থাকত 'মা' বলে। সেই শোভন এখন তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে অনেক দূরে। তার রাজনৈতিক অবস্থানের চেয়ে তার বান্ধবীকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সব মহলেই। বিজেপি নেতারাও শোভন-বৈশাখীর মানভঞ্জনে অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এবার প্রার্থী হিসেবে তাদের নাম না থাকায় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে গিয়েছে। আগামী ৭ তারিখ বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই শুরু হবে বিধায়ক রত্নার রাজনীতিতে প্রথম ইনিংস। মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্য প্রথম থেকেই রত্নাকে 'হেভিওয়েট' তকমা দিয়ে বসে আছেন।
advertisement
ABIR GHOSHAL