প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র হাত ধরেই ৪৫০ কোটির ফান্ড রিলিজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে। বিপুল অর্থের এই ফান্ড ও বাকিবুরের সাম্রাজ্য বিস্তার নিয়ে একের পর এক দাবি উঠে এসেছে ইডির চার্জশিটে। ইডির দাবি, সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি টাকা যায় বাকিবুরের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে।
আরও পড়ুন : বড় সুখবর! ৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া! বিরাট ঘোষণা মমতার, কারা করবেন আবেদন?
advertisement
রেশনের চাল, আটা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ চার্জশিটে। ১৬২ পাতার চার্জশিটে ছত্রে ছত্রে দুর্নীতির দাবি। উল্লেখ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির কথা।
রেশন দুর্নীতি মামলায় রিয়েলকন শ্রী হনুমান প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে ইডি জানায়, এই সংস্থাগুলি খোলা হয়েছিল দুর্নীতির টাকা লোপাটের জন্য। সংস্থাগুলোর মাধ্যমে টাকা সরিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন মোট দশটি সংস্থার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। বিচারক জানতে চান এই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরের নাম নেই কেন? উত্তরে ইডির আইনজীবী জানায়, “তদন্ত চলছে। ডিরেক্টরদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিরেক্টরদের ডেকে তাদের বয়ান রেকর্ড করতে হবে।
মোট দশটি এমন কোম্পানি রয়েছে। যার মধ্যে এই তিনটি সংস্থার কথা বিশেষ ভাবে ইডির তরফে বলা হয়েছে যা খুলে টাকা সরানো হয়, পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য এই সংস্থাগুলিতে নোটিশ সার্ভ করা যায়নি বলে আদালতে দাবি ইডির। চার্জশিটে উল্লেখ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দুর্নীতি থেকে ৩৬ কোটি টাকা লাভবান হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ কোটি টাকা ইডি ফ্রিজ করেছে। গম বণ্টন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি সামনে এসেছে।