রসগোল্লার জিআই শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছে রাজ্য। বুধবার সেই সার্টিফিকেট হাতে আসার পর এবার আদর্শ রসগোল্লা পাতে পড়ার অপেক্ষা ?
আদর্শ রসগোল্লা ? সেটা আবার কি ? দেখুন তো সেই রসগোল্লা কখনও খেয়েছেন কিনা ? আদর্শ রসগোল্লা বলতে কোন রসগোল্লাকে বোঝায় ? জেনে নিন ৷
আদর্শ রসগোল্লা
- দুধ ফুটিয়ে ছানা তৈরি করতে হবে। এটাই রসগোল্লার প্রধান উপাদান
advertisement
-মসলিন কাপড়ে জড়িয়ে ছানার জল ঝরানো ও মিহি করা হবে
-মিহি হওয়া ছানা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বলের মতো প্রস্তুত
-জলে চিনি ফেলে উনুনের আঁচে গরম করে চিনির সিরাপ বা রস তৈরি হবে
-চিনির রসে ছানার বলগুলি দিয়ে নাড়াচাড়া করা। রসের ঘনত্ব কমাতে ঠাণ্ডা জল ব্যবহার
-রসগোল্লা সঠিক আকারে এনে উনুন থেকে নামিয়ে নিতে হবে
-আলাদাভাবে তৈরি করা চিনির রসে তা ডুবিয়ে রাখতে হয়। এই রসে চিনির অনুপাত হবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ
এই রসগোল্লাই বাংলার রসগোল্লা বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনটি ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ করে রসগোল্লার এই রেসিপির পক্ষে সওয়াল করেছিল রাজ্য।
রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ মিষ্টির দোকানেই সকাল-বিকেল রসগোল্লা তৈরি হয়। এর বেশিরভাগই রসগোল্লাকেই আদর্শ রসগোল্লা বলা যায় না। এনিয়েও রয়েছে একগুচ্ছ সতর্কতা
রেসিপি সতর্কতা
- রসগোল্লার রঙ সাদা কিংবা হালকা সাদা হতে হবে
- সুজি বা ময়দার মতো উপাদান ব্যবহার করা যাবে না
- পরিচ্ছন্নতা বিধি মেনেই রসগোল্লা তৈরি করতে হবে
- মিষ্টির রস তৈরি হবে বেঁধে দেওয়া অনুপাত মেনেই
রসগোল্লার গুণমান, কারিগরদের প্রশিক্ষণ, জিআই স্বীকৃতির মতো বিষয়ে সাহায্য করতে কমিটি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক বিপণনের বিষয়টিও দেখবে এই কমিটি। একইসঙ্গে মিষ্টি দই, চন্দননগরের জলভরা, মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, ক্ষীরকদম ও শক্তিগড়ের ল্যাংচার জিআই স্বীকৃতি চেয়েও আবেদন করছে রাজ্য সরকার।
