শুরু থেকেই এই অনুমতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল ছাত্র সংগঠন এসএফআই৷ কলা বিভাগের এসএফআই নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংসদ আফসু-র পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়৷
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের জন্য লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রায় ১২০ জন পড়ুয়া৷ কিন্তু, পরবর্তী কালে জানা যায়, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অনুমতি না নিয়েই তাঁদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে৷ তাছাড়া, রামনবমী পালন করলে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিরতা জারি হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের মতো লোকসভাতেও নজরদারি রাজ্যপালের! ভোটের আগেই চলে যাচ্ছেন কোচবিহার
এরপরেই অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত৷ প্রসঙ্গত, এই সবের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের তৈরি একটি কমিটি রামনবমী পালনে সম্মতি দিয়েছিল৷ কমিটির বক্তব্য ছিল ক্যাম্পাসে দুর্গাপুজো , সরস্বতী পুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, ইফতার হয়। তাই রামনবমী পালনে বাধা দেওয়ার যুক্তি নেই।
তবে রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বেরা মনে করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই রামনবমী অনুমতি দিয়ে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আগামিকাল তারা কলকাতা হাইকোর্ট নজরে বিষয়টি আনবেন। এরই পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রামনবমীতে অনুমতি প্রত্যাহার নিয়েও মুখ খুলেছেন।