প্রসঙ্গত, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে বাংলাদেশের কারাগারে বিচারাধীন হিসেবে বন্দী রয়েছেন। তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। এদিকে, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মানুষ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এরই প্রতিবাদে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সভা করেছেন এবং এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
advertisement
শনিবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লেখা হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘আপনি আমাদের আন্তরিক প্রীতি ও নমস্কার জানবেন। সম্প্রতি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারামুক্তি প্রদান করলে আপনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে আমরা মনে করি। আশা করি, এ বিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের আশ্বস্ত করবেন।’
বর্তমানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জেলে আছেন। তাঁর জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নয়া বছরে। এদিকে চিন্ময় প্রভু যাতে কোনও রকম আইনি সহায়তা না পান, তার জন্যে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চট্টগ্রামের আইনজীবীদের একটা অংশ। এমনকী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যদি আদালতে পেশ থাকেন, তাহলে সেই আইনজীবীকে গণপিটুনি দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই আবহে চিন্ময় প্রভুর আগের জামিন শুনানিতে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে এবার আসরে রামকৃষ্ণ মিশনও।