India Bangladesh Relationship: ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে বাংলাদেশ! একাত্তরের যুদ্ধে এক ভারতীয়ই মাটি ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনাকে! স্বাধীন হয় বাংলাদেশ, কে জানেন সেই ভারতীয়?

Last Updated:
India Bangladesh Relationship: কে জানেন তিনি? আসুন আজ সেই গল্পই জানুন...
1/9
ভারতে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট করবে না বাংলাদেশ৷ গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ জুড়ে যে চরম ভারত বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যত তাতেই সিলমোহর দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার৷ কিন্তু এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভারতই। ভারত সাহায্যের হাত না বাড়ালে বাংলাদেশের একার পক্ষে স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভবই ছিল না। এমনকী পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করতে বাংলাদেশ ও ভারত মিলে যে মিত্রবাহিনী তৈরি করে, তার প্রধানও করা হয় এক ভারতীয়কেই। কে জানেন তিনি? আসুন আজ সেই গল্পই জানুন...
ভারতে ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট করবে না বাংলাদেশ৷ গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ জুড়ে যে চরম ভারত বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যত তাতেই সিলমোহর দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার৷ কিন্তু এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভারতই। ভারত সাহায্যের হাত না বাড়ালে বাংলাদেশের একার পক্ষে স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভবই ছিল না। এমনকী পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করতে বাংলাদেশ ও ভারত মিলে যে মিত্রবাহিনী তৈরি করে, তার প্রধানও করা হয় এক ভারতীয়কেই। কে জানেন তিনি? আসুন আজ সেই গল্পই জানুন...
advertisement
2/9
১৯৭১ সালে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওই সময়কার ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ্মভূষণ জগজিৎ সিং অরোরা (ফেব্রুয়ারি ১৩, ১৯১৬ - মে ৩, ২০০৫)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তিলগ্নে ১৬ ডিসেম্বর তিনি মিত্রবাহিনীর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ সম্পর্কীয় দলিল গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওই সময়কার ইস্টার্ন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ্মভূষণ জগজিৎ সিং অরোরা (ফেব্রুয়ারি ১৩, ১৯১৬ - মে ৩, ২০০৫)। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তিলগ্নে ১৬ ডিসেম্বর তিনি মিত্রবাহিনীর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ সম্পর্কীয় দলিল গ্রহণ করেন।
advertisement
3/9
জগজিত সিং অরোরা ১৯১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাকিস্তানে ঝিলামে সম্ভ্রান্ত শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়র।
জগজিত সিং অরোরা ১৯১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাকিস্তানে ঝিলামে সম্ভ্রান্ত শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়র।
advertisement
4/9
জগজিত সিং অরোরা ১৯৩৯ সালে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২য় পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশনড পদ পান। ১৯৬১ সালে চিনা সামরিক বাহিনীকে মোকাবেলা করতে সীমান্ত এলাকায় সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন এবং ওই সময়েই তিনি ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান।
জগজিত সিং অরোরা ১৯৩৯ সালে ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২য় পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশনড পদ পান। ১৯৬১ সালে চিনা সামরিক বাহিনীকে মোকাবেলা করতে সীমান্ত এলাকায় সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন এবং ওই সময়েই তিনি ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান।
advertisement
5/9
২১ নভেম্বর, ১৯৭১ সালে লেঃ জেনারেল অরোরা ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ডের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের মিত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবেও মনোনীত হন। ভারত-বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের রাজনৈতিক-সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় তিনি প্রধান হন। বাংলাদেশ পক্ষীয় দলের প্রধান ছিলেন জেনারেল এম. এ. জি ওসমানি। তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবতীয় আলাপ-আলোচনায় দায়বদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দু'সপ্তাহ পূর্বে ভারতীয় সামরিক বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে অগ্রসর হয় ও ঢাকা করায়ত্ত করেন। এর ফলে তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকবাহিনীর প্রধান লেঃ জেঃ এ. এ. কে. নিয়াজী ও তার সৈন্যবাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
২১ নভেম্বর, ১৯৭১ সালে লেঃ জেনারেল অরোরা ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ডের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের মিত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবেও মনোনীত হন। ভারত-বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের রাজনৈতিক-সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় তিনি প্রধান হন। বাংলাদেশ পক্ষীয় দলের প্রধান ছিলেন জেনারেল এম. এ. জি ওসমানি। তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবতীয় আলাপ-আলোচনায় দায়বদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার দু'সপ্তাহ পূর্বে ভারতীয় সামরিক বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে অগ্রসর হয় ও ঢাকা করায়ত্ত করেন। এর ফলে তিনি পূর্ব-পাকিস্তানে নিয়োজিত পাকবাহিনীর প্রধান লেঃ জেঃ এ. এ. কে. নিয়াজী ও তার সৈন্যবাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
advertisement
6/9
পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান ও আক্রমণ থাকা সত্ত্বেও অরোরা তাঁর বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে যেতে নির্দেশ দেন এবং যথাসম্ভব ও দ্রুততার সঙ্গে ঢাকাগামী হওয়ার আদেশ দেন। ফলে, এক পর্যায়ে নিয়াজি ও তার দলবল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে নিয়াজি'র কোনও শর্ত ছিল না এবং ঢাকা দখল হয়ে যাওয়ায় রসদভাণ্ডারও করায়ত্ত্ব করতে পারেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ঘটনা পরম্পরায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও জড়িয়ে পড়ার ফলে পাকিস্তান সামরিক ভাবে পূর্ব-পাকিস্তান অংশের নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পাশাপাশি সামরিক আক্রমণে ভারতের মাসব্যাপী রণ পরিকল্পনা সফল হয়। অরোরা তার নৈতিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধ জয় করেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন ঘটান।
পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থান ও আক্রমণ থাকা সত্ত্বেও অরোরা তাঁর বাহিনীকে পাশ কাটিয়ে যেতে নির্দেশ দেন এবং যথাসম্ভব ও দ্রুততার সঙ্গে ঢাকাগামী হওয়ার আদেশ দেন। ফলে, এক পর্যায়ে নিয়াজি ও তার দলবল আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে নিয়াজি'র কোনও শর্ত ছিল না এবং ঢাকা দখল হয়ে যাওয়ায় রসদভাণ্ডারও করায়ত্ত্ব করতে পারেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ঘটনা পরম্পরায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও জড়িয়ে পড়ার ফলে পাকিস্তান সামরিক ভাবে পূর্ব-পাকিস্তান অংশের নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পাশাপাশি সামরিক আক্রমণে ভারতের মাসব্যাপী রণ পরিকল্পনা সফল হয়। অরোরা তার নৈতিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধ জয় করেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন ঘটান।
advertisement
7/9
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশীদের জন্য একটি চিরস্মরণীয় দিন। জেঃ অরোরা ভারত-বাংলাদেশের সমন্বয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর প্রধান হিসেবে লেঃ জেঃ নিয়াজি'র আত্মসমর্পণ দলিল গ্রহণ করেন। দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হয় এবং বাংলাদেশ নামক একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটে।
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশীদের জন্য একটি চিরস্মরণীয় দিন। জেঃ অরোরা ভারত-বাংলাদেশের সমন্বয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর প্রধান হিসেবে লেঃ জেঃ নিয়াজি'র আত্মসমর্পণ দলিল গ্রহণ করেন। দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ হয় এবং বাংলাদেশ নামক একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় ঘটে।
advertisement
8/9
আত্মসমর্পণের দলিলে উল্লেখ ছিল: "পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল সৈন্য মিত্রবাহিনীর প্রধান লেঃ জেঃ জগজিত সিং অরোরা'র কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন।"
আত্মসমর্পণের দলিলে উল্লেখ ছিল: "পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় কমাণ্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল সৈন্য মিত্রবাহিনীর প্রধান লেঃ জেঃ জগজিত সিং অরোরা'র কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন।"
advertisement
9/9
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লেঃ জেঃ অরোরা'র কৃতিত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লেঃ জেঃ অরোরা'র কৃতিত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করেন।
advertisement
advertisement
advertisement