এদিন সকালেই বিধানসভায় আসেন সকলে। শাসক দলের তরফে হাজির ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, তাপস রায় সহ একাধিক বিধায়ক। এছাড়া হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভায় মনোনয়নপত্র তৈরির কাজ শুরু করে দেন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সদস্যরা। রবিবার ছুটির দিনেই তৃণমূল পরিষদীয় দল প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্র তৈরির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল।
advertisement
সোমবার প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর সেই কাজে আরও গতি আসে।সাকেতের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে লুইজিনহো ফেলেইরোর ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভার আসনটি। রাজ্যসভার বাকি পাঁচটি আসনে সরাসরি নির্বাচন হলেও ওই আসনটিতে উপনির্বাচন হবে। কারণ, আসনটি ভাঙা মেয়াদের। পূর্ণ সময়ের নয়। ২০২০ সালে ওই আসনে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছিল নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বালুরঘাট থেকে পরাজিত হন তিনি। তার পরে অর্পিতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল।
কিন্তু ২০২১ সালে অর্পিতা রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগদান করেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো। ওই বছরের নভেম্বরে অর্পিতার ছেড়ে দেওয়া আসনটিতে লুইজিনহোকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেটিও ছিল উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন লুইজিনহো।
আরও পড়ুন, কুড়িতে কুড়ি! বিরোধীশূন্য ৮! জেলা পরিষদে সবুজ সুনামি, গ্রাম বাংলায় তৃণমূল ঝড়
আরও পড়ুন, তৃণমূলের দখলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত- সর্বত্র ফুটছে ঘাসফুল
কিন্তু গোয়া বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর লুইজিনহোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। এ বছর এপ্রিল মাসে লুইজিনহো রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই আসনেই এ বার প্রার্থী হবেন সাকেত। সেটিতে এ বার উপনির্বাচন হবে। এই আসনটির মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি নেতৃত্ব আগামীকাল সম্ভবত মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন। তাদের প্রার্থী সম্ভবত অনন্ত মহারাজ।