তিনি বললেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে কোনও পার্থক্য নেই৷ পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে তৃণমূলের কোথাও কোনও উপস্থিতিও নেই৷ এখানে (পশ্চিমবঙ্গে) তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিভিন্ন নীতিকেই অনুসরণ করে চলেছে৷ সেই কারণে, আমাদের যদি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে৷’’
তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘‘এটা পরিস্কার, আমরা পশ্চিমবঙ্গে সবসময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট তৈরি করার চেষ্টা করেছি৷ আমরা এটা এখনও চেষ্টা করে যাব৷ আমরা আশা করব, কংগ্রেস বাম দলগুলির সঙ্গে জোট তৈরি করবে এবং বাম ও কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করবে৷ তবে আমি কেরলের পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারব না৷ তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল যাতে বিজেপি আর দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় না আসতে পারে৷’’
ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয়কারী কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত ছিল না সিপিআইএম৷ তখন থেকেই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়৷ তার পর সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর মিটিংয়ে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷
সেখানেই ঠিক হয়, জোট বা যৌথ কর্মসূচিতে থাকলেও এই সমন্বয়কারী কমিটিতে থাকবে না সিপিআইএম৷ সূত্রের খবর, এক দিকে যেমন বাংলার লবি তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে চায়নি, তেমনই কেরল লবিও কংগ্রেসের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতেই চেয়েছে৷ সব মিলিয়ে জোটের অঙ্কে কিছু সাবধানী পদক্ষেপ করতে চাইছে সিপিএম৷