#সিঁথি: অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সিঁথি কাণ্ডে মৃত রাজকুমার সাহুর পরিবার। ওই পরিবারের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং পুলিশি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সাত দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তদন্ত নিয়ে কিছুই জানেন না ওই পরিবার। আদৌ কোনো সুবিচার পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সোমবার ওই পরিবারের নিয়োজিত আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই মামলা একজন সিটিং জাজ-এর তত্ত্বাবধানে তদন্ত করতে হবে। তাতে মামলার তদন্তে নিরপেক্ষতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। থানার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ গুলি সঠিকভাবে মজুদ আছে কিনা! সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন জয়ন্তবাবু। জয়ন্তবাবু এও বলেন, আসুরা বিবি তাঁর বয়ান বদলালেও কিছু যায় আসে না। কারণ রাজকুমার সাহুর মৃত্যু হয়েছিল সিঁথি থানার পুলিশ হেফাজতে। পুলিশি হেফাজতে একজন সুস্থ মানুষ কোনও প্ররোচনা ছাড়া মারা যেতে পারেন না। সেটা নিয়ে সঠিক ও নিখুঁত তদন্তের প্রয়োজনে মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা।
advertisement
রবিবার সকালবেলা ওই নাইট শেল্টারে, আসুরা বিবির এক দাদা হুকুম গাজি ও বোন সাবিরান বিবি দু’জনে দেখা করতে আসেন ওঁর সঙ্গে। ওঁদের সঙ্গেও পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। আসুরার বোনকে পুলিশ ঢুকতে দিলেও, কোনও কথা বলতে দেয়নি ওঁর সঙ্গে। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আসুরা বিবিকে ভয় দেখিয়ে চাপ দিয়ে রেখেছে। মৃত রাজকুমারের পরিবার পুলিশের থেকে সে ভাবে কোনও সহায়তাই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন।
লালবাজারের গোয়েন্দারা রাজকুমারের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও, এখনও অব্দি তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে অন্ধকারে তাঁরা। দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কোথায় জমা পড়েছে, কিংবা কি তার ফল, কিছুই জানে না এই পরিবার। লালবাজারের তরফ থেকে সাহু পরিবারকে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখের কথার উপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না তাঁরা ৷