তবে বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে ক্ষোভ চাপা থাকছে না। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতাদের আসার বিষয়ে সরব তথাগত রায় প্রসঙ্গটি উঠতেই আজ বললেন, "আমি আগেই বলেছিলাম যাদে তৃণমূল থেকে ভোটের মুখে দলে নেওয়া হয়েছিল, তাদের যোগ্যতা বিচার করা হয়নি। এখন তৃণমূলে ফেরার সুযোগ না পেয়ে যাঁরা নিস্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিমন্ত্রণ করা দেখে মনে হচ্ছে, তাঁদের নিয়ে এখনও রাজ্য নেতৃত্বের দোলাচল থাকতে পারে।" নাম না করলেও পরিষ্কার তথাগত রায়ের অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকেই।
advertisement
অন্য দিকে নাম করেই রাজীবের বিরোধিতায় নামলেন অনুপম হাজরা। তাঁর কথায়, "রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়রে বিজেপিতে ফেরানো সমর্থন করব না। তৃণমূলে ফিরতে উন্মুখ যাঁরা এখন তাদের ফিরিয়ে নিলে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া যারা এখনও ঘরছাড়া, মার খাচ্ছে তাঁদের কাছেও জবাব দেওয়া যাবে না।"
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে জোড়া চিঠি দেন। একটি চিঠিতে ঘরছাড়াদের তালিকা ছিল, অন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল মুখবন্ধ খামে। অনেকেই মনে করছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে এই চিঠি দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, রাজীব তৃণমূলে জায়গা করতে না পেরেই এবার চাইছেন বিজেপিতে সক্রিয়ভাবে নতুন ইনিংস শুরু করতে। কিন্তু রাজীব বৈঠকে না এসে নিজেই সেই জল্পনায় আজ জল ঢেলে দিলেন।
প্রসঙ্গত ভোট বিপর্যয়ের পর দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজীব। একই সঙ্গে কুণাল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে তাঁকে যেতে দেখা যায়। রাজীব নিজে বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বললেও, রাজনৈতিক মহল অনুমান করছিল, রাজীব চাইছিলেন তাঁকে গ্রহণ করুক তৃণমূল, তাঁর প্রতি নমনীয়তা দেখাক দল। বলাই বাহুল্য এ বিষয়ে রাজীব সবুজ সংকেত পাননি।