বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে থেকে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের হাত থেকে তুলে নেন পদ্ম পতাকা। তারপর থেকে রাজ্যে বিজেপির প্রচারের অন্যত্তম মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু, ভোটে হেরে যান রাজীব। তারপর থেকেই তাঁকে আর সেভাবে সামনে আসতে দেখা যায়নি। তবে তিনি যে ফের তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় একপ্রকার শিলমোহর দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে শুভ্রাংশুর মতো তিনিও বিজেপির আত্ম-সমালোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
advertisement
অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভুল করেছেন, তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দিনকয়েক আগেই ক্ষমা প্রার্থনা করেন সোনালী গুহ। ভোটে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই বেসুরো প্রবীর ঘোষাল, শীলভদ্র দত্ত। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও সেভাবে কোনও দিনই সামনের সারিতে দেখা যায়নি বিধাননগরের এক সময়ের দাপুটে নেতা সব্যসাচী দত্তকে। এরপর নির্বাচনে সুজিত বসুর কাছে পরাজিত হন তিনি। তারপর থেকে একপ্রকার নিজেকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে ফেলেছিলেন সব্যসাচী। এ বার ফের নিজের পুরনো দলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সব্যসাচী দত্ত। ফলে আজ মুকুল রায়ের যোগদানের পরে বাকিরা কবে যোগদান করেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।(ইনপুট: আবীর ঘোষাল)।