প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার দুপুরে এআইডিএসও ও টিএমসিপির পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় অরবিন্দ ভবনের সামনে। সংঘর্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজন্যা হালদার। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অসুস্থ হয়ে পড়েন বামদের বেশ কিছু কর্মীও।
advertisement
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ডেপুটেশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তুমুল বচসা শুরু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ টিএমসিপির। এমনকী তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের মহিলা সদস্যদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। একুশের মঞ্চে নজরকাড়া ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদারের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বচসার জেরে তাঁর আঘাতও লাগে। যদিও বাম সংগঠনগুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলীয় সূত্রে খবর, যাদবপুরে কীভাবে ইউনিট তৈরি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পরেই শুক্রবার রাতে রাজন্যা ও সঞ্জীবের কথা ঘোষণা করলেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। রাজন্যার কাঁধে এত বড় দায়িত্ব দেওয়াকে বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়া মৃত্যুতে বাড়ছে ক্ষোভ! যাদবপুরের ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য আক্রমণ, অভিযোগ দায়ের
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরও তিনজনকে৷ ধৃতদের মধ্যে দু’জন প্রাক্তনী এবং একজন বর্তমান ছাত্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২৷
গত ৯ অগাস্ট রাত ১২টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়৷ তিন দিন আগেই সে বাংলা বিভাগের স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিল৷ ঘটনার পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কমিটির রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ব়্যাগিং তত্ত্ব উঠে এসেছে৷ বিবস্ত্র অবস্থাতেই যে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে৷