গত প্রায় দু সপ্তাহ ধরে গোটা রাজ্যের নজরে রয়েছে সন্দেশখালি৷ এলাকার দুই তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়ে সন্দেশখালিতে৷ পাল্টা গ্রামবাসীদের আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী,সমর্থকদের বিরুদ্ধে৷ এর পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালির পরিস্থিতি৷ গ্রামবাসীদের আস্থা ফেরাতে পুলিশ, প্রশাসন তৎপর হলেও এখনও দুষ্কৃতী হামলার ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন এলাকার অনেক বাসিন্দা৷
advertisement
আরও পড়ুন: কোন্ননগরে বালক খুনের পিছনে কি এক রহস্যময়ী? তিন দিন পরেও উত্তর খুঁজছে পুলিশ
রাজ ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির এরকমই কোনও আতঙ্কিত বাসিন্দা যদি রাজ ভবনে এসে আশ্রয় নিতে চান, তাহলে তাঁরা এই পিস হোমে থাকতে পারবেন৷ আপাতত রাজ ভবনের এক তলায় তিনটি ঘর সন্দেশখালির বাসিন্দাদের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে৷ এই ঘরগুলিতে নিখরচায় থাকার পাশাপাশি বিনামূল্যে খাবারও পাবেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা৷ আপাতত তিনটি ঘর তৈরি রাখা হলেও চাহিদা বাড়লে আরও ঘর সন্দেশখালির বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে রাজ ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
যদিও রাজ্যপালের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ পিস হোম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, হোটেল রাজ ভবন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস৷
সন্দেশখালিতে অশান্তির খবর পেয়ে দিল্লি থেকে ফিরে আসেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ সন্দেশখালি সফরের পর ফের দিল্লি যান রাজ্যপাল৷ যদিও তিনি দাবি করেন, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে কোনও রিপোর্ট দেননি তিনি৷ রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে, সেদিকে তিনি নজর রাখবেন বলে জানান রাজ্যপাল৷