বিশেষ করে যে সব কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে যেন কোনও ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে চিকিৎসকদের। জলের ব্যবস্থা যাতে ঠিকঠাক থাকে তার জন্য পাম্প, রেফ্রিজারেটর, বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সব কিছুই করে রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে রেল। নিজেদের পরিকাঠামো ব্যবহার করে যাতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর ডিভিশনকে।
advertisement
তিন বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিকরা ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন ও সিগন্যালিং বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এর মধ্যে বেশি নজরে হাওড়া ও খড়গপুর ডিভিশন। কারণ বৃষ্টির জমা জলে প্লাবিত হয় কারশেড। এই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা যথাযথ রাখা হচ্ছে। জল তুলে ফেলার জন্যে একাধিক পাম্প রাখা হয়েছে, যাতে নিকাশির অসুবিধা না হয়। এরপর ওভারহেড তার ছিঁড়ে গিয়ে বিপত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে টাওয়ার ভ্যান রাখা হবে। এই জন্যে ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে একাধিক জায়গায় ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি গাছের ডাল পড়ে বিপত্তি ঘটে। যেখানে ট্রেন রাখা থাকবে সেই কম্পার্টমেন্টগুলি যাতে কোনও ভাবে গড়িয়ে না চলে যায় তাই চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হবে। লাইন পেট্রোলিংয়ের কাজে যারা যুক্ত তাদের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, যাতে লাইন পেট্রোলিং যথাযথ হয়। এছাড়া দেখা হবে নদীর সেতুগুলি। সেগুলিকে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
Abir Ghoshal