#কলকাতা: রেলের জন্য জমি দিলেও এবার মিলবে না চাকরি। নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল মন্ত্রক। তবে রেলের কাজের জন্য বাসস্থান হারালে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাথমিক ভাবে মিলবে ৫ লক্ষ টাকা।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় জমিদাতাদের রেলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের কোনও প্রকল্পে জমি চলে গেলে জমিদাতাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হতো। এ বার থেকে সেই সুযোগ পাবেন না জমিদাতারা।
advertisement
রেল আধিকারিকদের বক্তব্য, জমি জটিলতায় আটকে পড়ে আছে একাধিক রেলের প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রেল প্রকল্পের কাজ আটকে আছে। কলকাতায় আটকে আছে বিভিন্ন মেট্রোরেলের কাজ। কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর অবধি মেট্রোরেলের কাজ। জমি জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোরেলের কাজও। এ ছাড়া আটকে রয়েছে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুরের মধ্যে রেল লাইন পাতার কাজ। ভাবাদিঘিতে আটকে আছে প্রকল্পের কাজ।
এছাড়াও ক্যানিং থেকে ঝড়খালির মধ্যে রেল প্রকল্প। বহরমপুরের কাছে ভাগীরথীর ওপর রেল সেতু তৈরি হলেও আপ্রোচ রোড তৈরির কাজ আটকে আছে জমিদাতাদের আন্দোলনের জেরে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে হাইস্পিড রেল প্রকল্পের কাজ আটকে আছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে জমিদাতারা আন্দোলন করায় কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এভাবেই দেশের একাধিক প্রান্তে জমি জটিলতা ও জমিদাতাদের আন্দোলনের জেরে আটকে আছে কাজ।
রেল সূত্রের খবর, ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন খতিয়ে দেখেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জমিদাতাদের চাকরি না-দিলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ তাঁরা দেবেন। পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ বাবদ এককালীন ৫ লক্ষ টাকা করে রেল জমিদাতাদের দিয়ে দেবে। রেল আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি, এই দুইয়ের জটিলতায় বহু প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারা যাচ্ছে না। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ ফেরত চলে যাচ্ছে। তাই চাকরি দেওয়ার নীতি থেকে সরে যাচ্ছে রেল। তবে রেলের এই নয়া নীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷