সেখানে লেখা হয়েছে, ভারতীয় রেল লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য একটি লাইফলাইন। কিন্তু বিজেপির শাসনব্যবস্থায় সারা দেশে রেল একটি মাল্টিটাস্কিং সার্কাসে পরিণত হয়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ, নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের মর্মান্তিক ঘটনা। প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে পাঁচজন নিষ্পাপ শিশু-সহ ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন ওই ঘটনায়। তারপরও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, কোনও হুঁশ ফেরেনি। এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন কি রেলমন্ত্রী? তিনি এখনও চেয়ার আঁকড়ে বসে আছেন। তাঁকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক।
advertisement
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের পদপিষ্টের ঘটনা হাফ-মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরর অপরাধমূলক অবহেলার ফল। আসলে তিনি তাঁর এই চাকরিটিকে পিআর স্টান্ট হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। তাই তো বারবার অব্যবস্থাপনা এবং উদাসীনতার কারণে প্রাণহানি ঘটে। দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এদিকে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার পর রেল নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি বাড়ালেও, সোমবারও দেখা যায় একাধিক ট্রেনে ওঠার লাইনে বিশৃঙ্খলা। কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, আরপিএফের কোনও ব্যবস্থা নেই। সংরক্ষিত কামরায় জেনারেল কোচের যাত্রীরা উঠে দাঁড়িয়ে আছেন। বন্দেভারত, শতাব্দী, দুরন্ত, রাজধানীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনেও উঠে যাচ্ছেন সাধারণ কামরার যাত্রীরা।
আরও পড়ুন-আর সময় নেই…! পৃথিবীর শেষ দিন হবে এটাই! বিজ্ঞানীদের হাড়হিম ৫ ভবিষ্যদ্বাণী জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, নিন্দনীয় ও প্রতিবাদযোগ্য। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, কুম্ভে যাওয়ার পথে নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, এরা চাইছেটা কী? রেলের যাত্রী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। একের পর রেল দুর্ঘটনা, লোকাল থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে অনিয়মিত পরিষেবা, পানীয় জল, খাবার, অপরিচ্ছন্নতা-সহ অজস্র অভিযোগ। কোথাও ট্রেনের মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করছে। তার মধ্যে সামনে এল এই চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। দেশের রাজধানীর বুকে রেলস্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু মিছিল। এত কিছুর পরও নিজের চেয়ারে বসে আছেন রেলমন্ত্রী! প্রচারপ্রিয় রেলমন্ত্রী কি এবার বলবেন, আর কতগুলি দুর্ঘটনা, আর কতগুলি প্রাণ গেলে উনি বলবেন ওই চেয়ারটিতে বসে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার তাঁর নেই? যেভাবে রেলের নিরাপত্তা ও পরিচালন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি।