রেলের প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, কারশেডগামী ট্রেনটির চালক অভিজিৎ কুমার প্রভাকর সিগন্যাল না মানার কারণেই গতকালের দুর্ঘটনা ঘটে৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত তাঁর ডিউটি ছিল৷ রেলের তথ্য বলছে, বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে দুর্ঘটনা ঘটে৷ যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে কারশেডে ট্রেন নিয়ে যেতে ও নির্দিষ্ট লাইনে ট্রেন পার্ক করাতে করাতে বেলা সোয়া ১২টা হয়ে যেত৷ তার পরে আর ওই ট্রেন চালককে নতুন করে কোনও ডিউটি দেওয়া হত না৷ ফলে কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি যাওয়ার তাড়াতেই ওই মোটরম্যান সিগন্যাল ভেঙেছেন কি না, তা অভিযুক্ত চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে SBSTC-র বাস! ভিডিও দেখলে আঁতকে উঠবেন
দুর্ঘটনার দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উঠে আসছে চালকের ক্লান্তির কথা৷ কারণ ওই মোটরম্যান সকাল থেকে ডিউটি করছিলেন৷ বেলা বাড়তে তাঁকে ক্লান্তি গ্রাস করেছিল কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ কারণ সিগন্যাল থেকে কোনও কারণে নজর এড়িয়ে গেলেও চালকদের সতর্ক করার জন্য কিছুটা এগিয়েই থাকে ফাউল মার্ক৷ সেটিও চালক কীভাবে চালকের নজর এড়িয়ে গেল, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ সেক্ষেত্রে চালকের ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে৷
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'সিগন্যাল ওভারশ্যুট' হয়েছে। সেটা অপরাধ। যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে আরআরআই কেবিন আছে৷ তাই মানুষের ভুল ছাড়া দুর্ঘটনার কোনও সম্ভাবনা নেই। ওনার কী সমস্যা ছিল জানি না, তবে রেলের বড় ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসবে। ওই চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'
দুর্ঘটনার জেরে ওই কারশেডগামী রেকটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে৷ মেরামতি করে এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি ফের যাত্রী পরিষেবায় নামানো যাবে বলে আশাবাদী রেল কর্তারা৷ তাঁদের দাবি, সিগন্যাল মেনে চলার বিষয়ে চালকদের সতর্ক করতে প্রচুর কর্মশালারও আয়োজন করা হয়৷ তার পরেও এমন ভুল হচ্ছে৷