তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা না পারলে বলে দিক তারা নোবেল পদক উদ্ধার করতে পারবে না। তাহলে এখনও চেষ্টা করবে রাজ্য পুলিশ। এই বিষয়ে কেন এখনও অবধি সিবিআই মুখ খুলছে না সেই বিষয়ে সরব হচ্ছে জোড়া ফুল শিবির।তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলেই বিরোধীরা সিবিআই চাই বলে আওয়াজ তোলেন৷ আদালতের নির্দেশে যে সব মামলা সিবিআই তদন্ত করছে তাকে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। সিবিআই যে সব মামলার তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে তা নিয়ে এবার সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
যদিও নোবেল চুরি নিয়ে তৃণমূলকে পালটা বিঁধছে বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা রাজ্যের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যদিও কুণাল ঘোষের অভিযোগ, "রাহুল সিনহা ভ্রাম্যমাণ পরাজিত ব্যক্তি৷ ধারাবাহিক পরাজয়ে তার রেকর্ড। তার কথায় বাস্তবের সাথে মিল থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। ২০০৪ সালে সিবিআই মামলা নিয়েছিল। সরকার সহযোগিতা করেনি বলে তিনি যেটা বলছেন সেটা আসলে বামেদের সময়ে। কোনও পিটিশনে কোথাও লেখা নেই রাজ্য সহযোগিতা করেনি৷ সেখানে কে তিনি? এই সব বলে চলছেন। যারা রোজ বলেন সিবিআই চাই, সিবিআই চাই৷ এখন যদি বাংলার মানুষ বলেন নোবেল চাই, নোবেল চাই৷ তাহলে উনি কি করবেন? ১৮ বছরে কেন উদ্ধার হল না। অবান্তর, অযৌক্তিক কথা বলছেন।পাগলে কিনা বলে? ওর কথার উত্তর কে দেবে। রাজনৈতিক অভিযোগ যদি করেন সেটা অবান্তর৷ সিবিআই রিপোর্টে তো কোনও উল্লেখ নেই৷ অবান্তর কথা বলে চলেছেন। উনি ঘুরে ঘুরে হারেন। উনি মানসিক অবসাদ থেকে বলছেন।"
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ জানা যায় শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি হয়েছে। নোবেলের পাশাপাশি চুরি হয়েছে আরও একাধিক জিনিসপত্র। নোবেল চুরির এক সপ্তাহের মাথায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের অগাস্ট মাসে সিবিআই তদন্ত বন্ধ করার কথা বলে৷ রাজ্য সরকার ২০১৫ সালে নোবেল পদক চুরির তদন্ত করতে চায় বলে জানায়। সব মিলিয়ে ১৮ বছর পরেও অধরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল।
ABIR GHOSHAL