ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে, বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ শে বৈশাখের পূণ্য লগ্নে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা তিনি। বাংলা তথা ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ-প্রসারে তাঁর অবদান অসামান্য। বাঙালির মননে, সংস্কৃতি-কৃষ্টিতে তিনি চিরস্মরণীয়। শুধু সাহিত্য ও সংস্কৃতিই নয়, দর্শন, পরাধীন ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন - Cyclone Asani Update: ঘূর্ণিঝড় অশনির মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি সেরে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, সংগীতশিল্পী ও দার্শনিক। নতুন পথের নয়া দিগন্ত রচিত হয়েছিল তাঁর লেখনীতে। তিনিই গান বেঁধেছিলেন, ‘‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো। একলা রাতের অন্ধকারে আমি চাই পথের আলো৷’’
সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের সর্বত্র পালিত হতে থাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) ১৬১ তম জন্ম দিবস। এদিন সকাল থেকেই রাজারহাট নিউটাউন এর রবীন্দ্র তীর্থে নাচে-গানে আবৃত্তিতে স্মরণ করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। হিডকো ম্যানেজিং ডিরেক্টর,এন কে ডি এ এর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এর মাধ্যমে শুরু করেন ' কবি প্রণাম ' এর হিডকো এর জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোপাল ঘোষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতে। আগামী ৭ দিন ধরে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হবে। এছাড়াও আগামীকাল নিউটাউন এর অ্যাকশন এরিয়া ২ তে নতুন কমিউনিটি হলে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠিত হবে।
" তোমার চক্ষু দিয়ে" সমবেত সঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় এদিনের কবি প্রণাম। রবিকিরণ সংস্থার সুমন পান্থির পরিচালনায় সমবেত সঙ্গীত " গানে গানে তবো বন্ধন যাক টুটে " সৌমেন্দ্রনাথ বসুর একক সঙ্গীত থেকে রচয়িতা সরকারের গান স্বপ্না দেবের আবৃত্তি ভরা অনুষ্ঠান কক্ষকে স্মৃতিমেদুরতায় মাতিয়ে তোলে। যদিও নতুন প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিল গোটা অনুষ্ঠানেই।
ABHIJIT CHANDA