ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। ঊষসী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তার পর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলেন, তাঁর কোভিড পজিটিভ, ফলে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় তাঁর পক্ষে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, কিছু করার নেই। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় অংশ না নিলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে করোনা আক্রান্ত ঊষসী সকালে একটি বাইকে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে যান। সেখানে লাইনে দাঁড়ান। তার দীর্ঘ ক্ষণ পর তাঁর সুযোগ আসে। টেবিলে তিনি উপস্থিত হতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কর্মীরা আরও বেশ কয়েকটি নথির জেরক্স চান। ঊষসী বলেন, তিনি কোভিড আক্রান্ত, এত ছুটোছুটি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কথা শুনে কিছুটা চমকে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। তাঁরা কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এসে ঊষসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন, তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে। বাড়ি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত সব পাঠিয়ে দিতে। ঊষসী এর পর বাড়ি ফিরে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন - শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিল হাইকোর্ট, নজরদারিতে তিন সদস্যের কমিটি
এই গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাসনীতায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়া বলেন, "বাড়ি থেকে পাঠানোর সুযোগ যখন ছিল, তখন আমি কোভিড আক্রান্ত জেনেও আমাকে ডেকে পাঠানো হল কেন? বিশ্ববিদ্যালয় বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে এ ভাবে হয়ত রোগ ছড়ানোর সুযোগ থাকত না।" বাড়ি ফিরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের কাছে ই-মেল মারফত একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন - ডার্ক ওয়েবের হাতছানি পড়ুয়াদের সামনে, অনলাইনে ক্লাস নিয়ে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা আশিস দাসের দাবি, "ছাত্রীটি এসেছিলেন এটা সত্যি ঘটনা। কিন্তু যে টেলিফোনে কথোপকথন এর কথা বলা হচ্ছে, সেই বিষয়টা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আমরা সংশ্লিষ্ট ঐ কর্মচারির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি তিনি জানিয়েছেন যে তিনি জানতেন না যে ওই ছাত্রীটি করোনা আক্রান্ত। আমরা জানার পর পরই ছাত্রীটিকে বাড়ি চলে যেতে বলেছিলাম।"
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়