নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপরে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে বলে এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সরব হন রবিশঙ্কর৷ বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে নবান্ন অভিযানকে সফল বলেই মনে করছে, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আমি জয়প্রকাশ নারায়ণের সৈনিক৷ ইন্দিরা গান্ধি অনেক চেষ্টা করেও জয়প্রকাশ নারায়ণকে রুখতে পারেননি৷ আপনিও বিজেপি-কে রুতে পারবেন না৷ মনে রাখবেন, বাম-কংগ্রেস মুছে গিয়েছে, বিজেপি ৭৭-এ পৌঁছে গিয়েছে৷ তৃণমূলের অর্থ শিঁকড়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক৷ মাটির সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ ভাবে অত্যাচার করা যায় না৷ আপনি দলের নাম বদলে ফেলুন৷' একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'যত অত্যাচার করবেন, বিজেপি-র প্রতিবাদের স্বর আরও চড়বে৷ কিন্তু মনে রাখবেন, এ ভাবেই যদি বিজেপি নেতা কর্মীদের উপরে অত্যাচার চলতে থাকে, তাহলে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে দারুণ খুশি দিল্লি, বড় সার্টিফিকেট পেলেন শুভেন্দু- দিলীপরা
অতীতে বার বারই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে দরবার করেছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা৷ যদিও সেই দাবিকে খুব একটা আমল দেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী৷ বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেই রাজ্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করার জন্য বঙ্গ বিজেপি-র নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি৷ যদিও এ দিন রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো প্রাক্তন মন্ত্রীর মুখে দলীয় সাংবাদিক বৈঠকে সাংবিধানিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
যদিও রবিশঙ্করের এই হুঁশিয়ারি শুনে তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, 'উনি তো আইন মন্ত্রী ছিলেন৷ সংবিধানটা বুঝতেন না বলেই মনে হয় ওনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷' আর এক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'উনি যা বললেন অর্থহীন৷ কারও সাংবিধানিক অধিকার কাড়া হয়নি৷ কালকে নবান্নে তাণ্ডব করেছে৷ অতীতে এমন দৃষ্টান্ত নেই৷ পুরো দায় বিজেপি নেতৃত্বের৷ তিন ভাগে মিছিল ছিল, তিনটেই ফ্লপ৷ রবিশঙ্কর প্রসাদকে তৃণমূল নিয়ে ভাবতে হবে না৷ ফ্লপ শো করার পর রবিশঙ্কর প্রসাদকে দিয়ে বিজেপি-র ভাবমূর্তি উন্নত হবে না৷'