হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত ওই চিকিৎসক বসিরহাটের বাসিন্দা ছিলেন৷ কিন্তু বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে মধ্যমগ্রামে থাকতেন তিনি৷ গতকাল মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর৷ এর পর মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ আজ বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হবে৷
advertisement
সূত্রের খবর, গত বেশ কয়েক মাস ধরে ওই চিকিৎসক অ্যান্টি ডিপ্রেশন বা অবসাদ কমানোর ওষুধ খাচ্ছিলেন৷ গতকাল ওই চিকিৎসক চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি অ্যান্টি কোলেস্টেরল ড্রাগ বা হৃদরোগ ঠেকানোর ওষুধ খান বলেও খবর৷ এর পরেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়৷
জানা গিয়েছে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ওই চিকিৎসকের যথেষ্ট সুনাম এবং পসার ছিল৷ আর জি কর হাসপাতাল ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি৷ তার পরেও কেন তিনি অবসাদ কমানোর ওষুধ খাচ্ছিলেন, তা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তাঁর সতীর্থ চিকিৎসকদের মধ্যে৷ পেশাদারি অথবা পারিবারিক কোনও সমস্যায় তিনি জড়িয়ে ছিলেন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি৷
মৃত চিকিৎসকের স্ত্রীও একজন দন্ত চিকিৎসক৷ বর্তমানে তিনি সন্তানসম্ভবা৷ ফলে চিকিৎসকের এই পরিণতিতে তাঁর পরিচিত মহলও স্তম্ভিত৷ শুভজিৎ আচার্য আরজি কর হাসপাতাল থেকেই এমবিবিএস পাস করেন৷ এর পর পেডিয়াট্রিক্সে এমডি-ও সম্পূর্ণ করেন তিনি৷ অত্যন্ত মেধাবী হিসেবেই চিকিৎসক মহলে পরিচিত ছিলেন তিনি৷
