এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যদি অন্য কোনও এজেন্সির হাতে তদন্ত যায় তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না। বাকিটা আদালতের ব্যাপার। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। আমরা নিন্দা করছি। তবে সেরা অফিসারদের নিয়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করছিল। অতীতে সিবিআই তদন্ত করতে বা কিনারা করতে পারেননি। তবে আদালত যখন দিয়েছে তখন তদন্ত হবে।’’
advertisement
তবে, আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি৷ কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘সন্দীপ ঘোষ নিয়ে দলের বক্তব্য নেই। স্বাস্থ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অধ্যক্ষ ইস্তফা বা নিয়োগ নিয়ে আমাদের মন্তব্য নেই। পুনঃনিয়োগের ব্যাপারে প্রশাসন দেখবে।’’
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ, আর জি কর কাণ্ডে পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের কাছে, বৈঠকে মমতা
তবে এদিন ঘটনায় বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে সিপিএম-বিজেপিকেও কটাক্ষ করেন কুণাল৷ বলেন, ‘‘আর জি কর নিয়ে সিপিএম আর বিজেপি যেন বেশি কথা না বলে। বড় বড় কথা বলছে বিজেপি। উন্নাও, হাথরসের পরে কি মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছিলেন? বিলকিসের ঘটনার পরে কি ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাদের সময় ধানতলা, বানতলায় কি হয়েছিল? সিপিএম কি সব ভুলে গেছে? যাদের এমন অতীত রয়েছে তারা বড় বড় কথা বলছে। সমাজ অনেক বড়। ভালো কাজ হয়। আবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। শুভেন্দু বাবু আগে রেকর্ড দেখান। উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।’’
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ‘‘আর জি করের ঘটনা ভয়ঙ্কর, নৃশংস। এই রাজ্যের সরকার সংবেদনশীল। কর্মবিরতি মানে হাজার হাজার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। মৃত্যুর খবর আসছে বিনা চিকিৎসায়। কিন্তু আপনারা কাজ কেন বন্ধ রাখছেন? কাদের উদ্দেশ্য সফল করতে এই কর্মবিরতি চলছে।’’
আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের! আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নজরদারিতেই হবে এই মামলার সিবিআই তদন্ত হবে। আদালতের মধ্যেই আর জি করের চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কেস ডায়েরি সিবিআই-কে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য নথি বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআই-কে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। নির্দেশ হাইকোর্টের৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথিই সিবিআই চাইলে দিতে হবে পুলিশকে।
সূত্রের খবর, আদালতের রায়ের পরেই নবান্নে হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার। হাসপাতাল গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।