নারদ মামলায় বড় ধাক্কা সিবিআইয়ের। স্যামুয়েল ম্যাথুর আই-ফোন নিয়েই অস্বস্তিতে তদন্তকারী সংস্থা।
নিজের আইফোনে নারদ স্টিং অপারেশনের ছবি তুলে রেখেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন নারদকর্তা। পরে সেই ফুটেজ স্টিং ল্যাপটপে ট্রান্সফার করে নেন। প্রাইমারি ডিভাইসে ফুটেজ না থাকায় কীভাবে ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব ? প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতি।
বিচারপতি
এভিডেন্স অ্যাক্ট ৬৩ নম্বর ধারায় বলা আছে, ইলেকট্রনিক্স রেকর্ডের প্রশ্নে প্রাইমারি ডিভাইসকে তালিকায় রাখতেই হবে। সিবিআই তো সেটাই দেখাতে পারছ না। তা হলে তদন্ত কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?
advertisement
সিবিআইয়ের আইনজীবী
এভিডেন্স অ্যাক্টের ৬৫ নম্বর ধারায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই পারে সিবিআই ৷
এই যুক্তি অবশ্য মানতে চায়নি হাইকোর্ট।
সিবিআইকে ৬৩ নম্বর ধারাও মাথায় রাখতে হবে। প্রাইমারি ডিভাইসকে নষ্ট করার প্রবণতা বিপজ্জনক। বহু সামলায় এনিয়ে সিবিআইকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। প্রাইম ডিভাইস থেকে ট্রান্সফার করা হলেও তার পদ্ধতি হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরতে হবে ৷
সিবিআই এদিন আদালতে জানায়, গুজরাতের গান্ধিনগরে নারদের আরও ৯টি ক্লিপিংস খোলা গিয়েছে। ম্যাথুর আইফোন সিম - ট্রে পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে আদালতে উঠে আসে রিজওয়ানুর মামলার কথাও। রিজ মামলায় ডি-লিট করা ফাইল হার্ডডিক্স থেকে ফাইল উদ্ধার করা হয়েছিল। এখানে সেটা সম্ভব নয় কেন জানতে চায় আদালত। আগামী ২৩ মার্চ এনিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে সিবিআইকে।