সলমন রুশদি
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস। ১৯৮৮ সালে এই উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ভারতীয় বংশোদ্ভুত সাহিত্যিক সলমন রুশদি। তাঁর উপন্যাস ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এই অভিযোগে সরব হয় বেশ কয়েকটি দেশের মুসলিম সংগঠন। রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া পর্যন্ত জারি করেন ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
এম এফ হুসেন
advertisement
তাঁকে বলা হয় ভারতের পিকাসো। কিন্তু তিনিও বাঁচতে পারেননি অসহিষ্ণুদের হাত থেকে। নগ্ন সরস্বতীর ছবি এঁকে বিপাকে পড়েন এম এফ হুসেন। উদ্র হিন্দুত্ববাদীদের খুনের হুমকির জেরে ২০০৬ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। জীবনের শেষ সময়ে ভারতীয় নাগরিকত্বও ছেড়ে দেন এই চিত্রকর।
তসলিমা নাসরিন
অসহিষ্ণুতার শিকার হওয়া শিল্পী-সাহিত্যিকদের তালিকায় আরেক নাম তসলিমা নাসরিন। লেখার মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলির পক্ষে সওয়াল করেন তসলিমা। ধর্ম নিয়ে কলম ধরায়, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির রোষের মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি এই লেখিকাকে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা। তারপর থেকেই নির্বাসিত লেখিকা।
গুলাম আলি
ভারত-পাক অশান্তির জেরে অসহিষ্ণুতার শিকার গুলাম আলি। গতবছর পাঠানকোট বায়ুসেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর, নতুন করে পাক-বিরোধী তাস খেলতে শুরু করে শিবসেনা। সফট-টার্গেট হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গুলাম আলিকে। শিবসেনার জঙ্গি আন্দোলনে, মুম্বইয়ে দু'দুবার অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হন গজল সম্রাট।
সঞ্জয়লীলা বনশালী
অসহিষ্ণুতার শিকার পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালীও। তাঁর ছবি 'পদ্মাবতী'তে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক রাজপুত গোষ্ঠীর। সেই অভিযোগে জয়পুরে ছবির শুটিং চলাকালীন হামলা চালায় কার্নি সেনা নামে একটি রাজপুত গোষ্ঠী। শারীরিক হেনস্থা করা হয় বনশালীকেও। হামলার জেরে জয়পুরে শুটিং বন্ধ করলেও, অসহিষ্ণুদের হাত থেকে রেহাই পাননি ব্ল্যাক-দেবদাস খ্যাত পরিচালক। মধ্যপ্রদেশের কোলাপুর 'পদ্মাবতী'র সেটে ফের হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
স্থান-কাল বদলেছে। বদলেছে আক্রান্তদের নাম। বদলায়নি শুরু অসহিষ্ণুতার প্রবণতা। মুখোশ পালটে বারে বারে সে আঘাত করেছে শিল্পী-সাহিত্যিকদের। সেই তালিকাকেই এবার নাম উঠল কবি শ্রীজাত।