অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এসে এই রাজনৈতিক তারকা সমাবেশকে এক অন্য মাত্রা দেন। প্রসেনজিৎ বলেন, "সারা বছর অভিনয়ের খাতিরে যতই খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করি, মানে ডায়েট করি না কেন, দুর্গা পুজোর চারদিন সব ভুলে মায়ের ভোগ। ওটা আমি কোনও ভাবেই মিস করতে পারব না।" আর সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার মহানগরী তথা চেতলা অগ্রণী পূজার কর্ণধার শ্রীরাধা থাকি প্রসেনজিৎকে অনুরোধ করেন পুজোর চারদিনই সেখানে এসে যেন মায়ের ভোগ খেয়ে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এ বারের পুজোয় মহা চমক! খুঁটি পুজোয় ঘোষিত হল থিম
প্রসেনজিৎ এদিন উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, "সারা রাজ্যের মানুষ জানেন এই চেতলা অগ্রণীতে কত বড় পুজো হয়! আমার প্রতি বছরই এখানে পুজোর সময় আসতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সব সময় হয়ে ওঠে না। তবে আজকের এই শুভ রথযাত্রার দিনে খুঁটি পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং তাতে প্রায় দুর্গাপূজার মতোই লোকসমাগম, ফলে দীর্ঘ ২ বছর বাদে কোথাও যেন একটা আশার আলো দেখা দিচ্ছে। গোটা দেশের মধ্যে এই পশ্চিমবঙ্গেই আমি দেখেছি একমাত্র পাড়া সংস্কৃতি রয়েছে। আজকের ইঁদুর দৌড়ের দিনে আমরা হয়তো অনেকেই বিচ্ছিন্ন তবু দুর্গা পূজার কটা দিন আমরা সবাই পরিবার হয়ে যাই। ছোট বড় প্রত্যেকে এই সময়টা একসঙ্গে।"
আরও পড়ুন: আহা! ঘরে বসেই মিলবে রথের ভোগ, চটজলদি জেনে নিন কীভাবে
৩০ বছরে পা দিয়েছে চেতলা অগ্রণী। এ বারের দুর্গাপূজার থিম 'ষোলো কলায় পূর্ণ'। রবিবার থেকে কলকাতায় এই পুজোর বিজ্ঞাপনের ব্যানার, হোর্ডিং পড়তে শুরু করবে। এ দিন খুঁটি পূজার উদ্বোধন করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এই চেতলা অগ্রণীতে আগে কালী পূজা করা হত। কিন্তু আশে পাশে বিভিন্ন নামকরা পুজো হওয়ায় এই পাড়ার লোকেদের অনুযোগ ছিল আমাদের পাড়াতেও একটা বড় পুজো করার। আর সেই থেকেই শুরু। দুর্গাপুজো সবাই ভালো কাটান। প্রত্যেক ধর্ম জাত মিলেমিশে এক হয়ে আনন্দ করুন।"
ABHIJIT CHANDA