গতকাল থেকেই রেশন গ্রাহকরা গোটা মাসের বরাদ্দ চাল পাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা যে সমস্ত গ্রাহকরা গমের বদলে আটা পান তাঁদের অবশ্য তা দেওয়া হবে দু'দফায়। তবে গম তারা একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। যে সমস্ত গ্রাহকরা রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আছেন, তাঁরা মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল পেয়ে যাবেন। গত মাস থেকেই অবশ্য যাঁরা খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আছেন, তাঁরা বিনা পয়সায় খাদ্য শস্য পাচ্ছেন। যাঁরা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আছেন, তাঁরা যদি অন্ত্যোদয় গ্রাহক হন, তাহলে তাঁরা পরিবার পিছু মাসে বরাদ্দ ১৫ কেজি চাল ও ২০ কেজি গম বা আটা পেয়ে যাবেন। আর যাঁরা প্রায়োরিটি হাউস হোল্ড বা সুপার প্রায়োরিটি হাউস হোল্ড শ্রেণীর গ্রাহক,তাঁরা মাসে মাথাপিছু ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম বা আটা পেয়ে যাবেন।
advertisement
অন্যদিকে সালারে শনিবার সকাল থেকেই ছড়ায় উত্তেজনা। রেশন ডিলারের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া হয়। বাড়ির আসবাবপত্র বের করে আনা হয়। সেগুলিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় ব্যাপক বিরক্ত রাজ্যের খাদ্য দফতর। রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, "সালারে যে দাবি করা হয়েছে তা অযৌক্তিক। এর পিছনে বাম-কংগ্রেস আছে। সপ্তাহে ৫ কেজি করে বরাদ্দ নেই নিয়মে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও ডাল দেয়নি।" গোটা ঘটনার জেরে ওই দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে লালগোলায় অভিযোগ এসেছে, পচা চাল দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠভাবে রেশন বিলির কাজ করার জন্য এদিন খাদ্য দফতরের তরফ থেকে ফের জেলাশাসকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রেশন নিয়ে এত অনিয়মের খবর কেন আসছে? তা নিয়ে কড়া নজর রাখার কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী। রেশন দোকানের উপর নজরদারির জন্যে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের নামতে বলা হয়েছে। মে মাসের ২৫ তারিখ শুধুমাত্র রেশন দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বাকি সমস্ত দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা ও দুপুর ২'টা থেকে রাত ৮'টা পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা থাকবে।
ABIR GHOSHAL