চেতলার সদরঘাট থেকে কালীঘাটের সতীঘাট। আদি গঙ্গার জোয়ার ভাঁটায় চলত নৌকো। রাজ্যে সরকারের পালাবদল হওয়ার পর তৈরি হয় নতুন সতীঘাট ব্রিজ। পারাপারের সমস্যা মিটলেও এবার তৈরি হল নতুন সমস্যা৷ জোয়ারের জল আরও বেশি করে ঢুকছে বাসিন্দাদের ঘরে। সমস্যা যে জোরালো হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায়। প্রবীর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলেই লক্ষ্মীর ভান্ডরে ২০০০ টাকা করে! সুকান্তর দাবিতে তীব্র শোরগোল, অস্বস্তিও
★কালিঘাট মন্দির সংলগ্ন সতীঘাট থেকে সদরঘাট ওয়াকিং ব্রিজ।
★সেতুর দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার।
★কংক্রিটের সেতুতে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাঁটার সুবিধা।
★জোয়ারের জল সেতুতে বাধা পেয়ে নতুন সমস্যা।
★জোয়ারের জলের সঙ্গে পলিমাটি ঢুকে পড়ছে বাসিন্দাদের ঘরে।
★ব্রিজের কারণে নৌকো নিয়ে এপার ওপার হওয়ার অসুবিধা।
শুধুমাত্র কালীঘাটের ৮৩ নম্বর ওয়ার্ড নয়, এই জোয়ারের জলের সমস্যায় জেরবার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও। সদরঘাট, ছোট গলি, নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রীট, মেটে গলি, হিউম রোড, কালীঘাট রোড, টালিগঞ্জ রোডে জোয়ারের জল ঢুকে যায় বাসিন্দাদের ঘরে। এই সতীঘাট ব্রিজের সমস্যা নিয়ে কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে প্রস্তাব আনেন কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায়। বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে ড্রেজিং করে আদি গঙ্গার নাব্যতা বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দেন ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার অধিবেশনে প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের প্রস্তাব ছিল যে ভাবেই হোক এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন৷ আমি নিজেও দেখছি কীভাবে বিকল্প ব্যবস্থায় সমাধান করা যায়।