প্রথম দফার বৈঠকে কলকাতা ও হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলা শাসকদের ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট তিন জেলাকেই ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলা শাসকদের ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলেও, ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে স্পষ্ট কোনও বার্তা দিতে পারেনি কমিশন। এদিকে, কলকাতা ও হাওড়া পুরভোট নিয়ে কমিশন তৎপরতা শুরু করলেও, বাকি জেলাগুলির সঙ্গে কোন আলোচনা না করায়, কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল একাধিক জেলা শাসক। জেলা শাসকদের ক্ষোভের আঁচ পেয়েই তড়িঘড়ি দ্বিতীয় দফার বৈঠক নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন কমিশন। একই সঙ্গে ভোটের দিনক্ষণ জানতে নবান্নের কাছে গত বৃহস্পতিবার ফের চিঠি পাঠিয়ে ভোটের সম্ভাব্য দিন জানতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও, নবান্নের তরফে কমিশনকে এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয় নি।
advertisement
তবে, কমিশনের এক কর্মীর ভাষায়, ' সরকারের তরফে কোনও বার্তা না পেলেও, আমাদের ধারনা প্রথম দফায় কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট ঠিকঠাকভাবে হয়ে গেলে, দ্বিতীয় দফায় বাকি পুরসভা ও চারটি কর্পোরেনের ভোট মে মাসে রমজান মাসের শেষে হতে পারে। আমরা সেটা ধরেই এগচ্ছি।' প্রথম দফার কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোটের দিন দোলের পরই ঘোষণা হতে পারে বলে মত ওই কর্মীর। যদিও, পুরভোটের দিনক্ষণের মতোই, ভোট কিসে হবে, ব্যালট না ইভিএম-এ -- এই বিষয়েও ধোঁয়াশা কাটেনি খোদ কমিশনের। গত ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যালটে পুরভোট করানোর বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু, সরকার, পুরভোটের প্রস্তুতি নিতে কমিশনকে সবুজ সঙ্কেত দিলেও, এই প্রশ্নের মীমাংসা এখনো হয় নি।
ARUP DUTTA