ফুলবাগানের বাসিন্দা আকাঙ্ক্ষা পান্ডে গত বছরই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ করেন যে, এই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসা,একই ওষুধ বারবার লিখে যাওয়া,বাড়তি বিল নেওয়া, আই সি ইউ এর জন্য বিল নিয়েও আইসিইউ কনসালটেন্ট এর জন্য আলাদা করে বিল ধার্য করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য কমিশনে। এই বিষয়ে কমিশনে বেশ কয়েকটি শুনানি হয়। যেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, আই সি ইউ ইনচার্জ তারা তাদের বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টা বক্তব্য রাখা হয়।
advertisement
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। কমিশনের বক্তব্য, হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মাসি থেকে রোগীর পরিবারকে ওষুধ কিনতে হয়েছিল। ১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার ওষুধ কেনা হয়েছিল, নূন্যতম ১০% ছাড় পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। রোগীর পরিবারকে উপরন্তু একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ওষুধ প্রয়োজন না থাকলেও বারবার করে লেখা হয়েছে এবং কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। যার নির্দিষ্ট প্রমাণ কমিশন পায়। এছাড়াও আইসিইউ এর যে বিল দেওয়া হয় তাও অনেকটাই বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একবার আইসিইউ এর জন্য চার্জ নিয়েছে, তার সঙ্গে আবার আলাদা করে আইসিইউ এর ডাক্তার এর জন্য বিল করেছে এই ঘটনায় কমিশনের নজর এড়ায়নি। ফলে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এর পাশাপাশি রোগীর পরিবারকে চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য আলাদা করে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে আবেদন করতে বলা হয়েছে যদিও এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও রকম মন্তব্য করতে নারাজ।
এর আগেও বহু ক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নামিদামি নার্সিংহোম গুলোর বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল ৷ রোগীর পরিবার অভিযোগ করে মাত্রাতিরিক্ত বিল নেওয়া হচ্ছে, যে ওষুধের প্রয়োজন নেই সেই ওষুধ লেখা হচ্ছে এমনকি একই ওষুধ বহু পরিমানে নিতে বাধ্য করেছে হাসপাতাল ৷ এখন দেখার বিষয় যেভাবে এই বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাতে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন আরও কতটা সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে।