পাশাপাশি, শমীক এ-ও বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুহূর্তে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, আন্দোলনকারীদের সমস্যা সমাধান করতে গেলে তৃণমূলকে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। গোটা ব্যবস্থাপনাতেই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এসেই হবু শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান করবে।’’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের লক্ষ্য বিজেপির ‘উত্তর’! সভায় কি চব্বিশের বার্তা? আজ আলিপুরদুয়ারে মমতা
advertisement
শনিবার আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘আন্দোলনকারী রাসমণি ও অন্যান্য কয়েকজন আমার কাছে প্রায়ই আসেন। টিভিতে রাসমণিকে মস্তকমুণ্ডন করতে দেখে আমার খারাপ লাগে। মানবিকতার কারণে আমি তাঁদের কাছে এসেছি। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, মানবিক কারণেই এসেছি। বিরোধীরা সমাধান চায় না, ওরা শুধু রাজনীতি চায়।’’
আরও পড়ুন: মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ…‘অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা’! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল বিজেপি
প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ শনিবার ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হতেই গত শনিবার ‘চোর-চোর’ স্লোগান ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্রের দিকে জুতোও উড়ে আসে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষক পদপ্রার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তারা কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। কুণাল ঘোষকে উদ্দেশ্য করে কে বা কারা স্লোগান কিম্বা জুতো ছুঁড়ল তা তাদের জানা নেই।’’ আর এবার কুণাল ঘোষের কার্যত পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যারাই এই ঘটনা ঘটাক না কেন আমাদের দল সমর্থন করে না।