পাশাপাশি বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “শতরূপা ভট্টাচার্যর পালিয়ে যেতে পারেন এবং নথি বিকৃত করতে পারেন এই মর্মে আশঙ্কাও প্রকাশ করেনি ইডি। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ যেদিন তিনি বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান সেদিনই তার জামিন পাওয়া উচিত ছিল। এমনটাও আজ তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন : MS Dhoni-র মেয়ে জিভা পড়ে ‘এই’ স্কুলে, বার্ষিক ফি কত জানেন? শুনলে চমকে যাবেন!
advertisement
আরও পড়ুন : ‘সমুদ্রতীরে ‘রাক্ষস’…? ক্রমশ এগিয়ে আসছে ওটা কী? ভিডিও শেয়ার হতেই কাঁপছে নেটপাড়া
বিচারপতি তীর্থঙ্কর তাঁর নির্দেশনামায় একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, “এই মামলার বিচার করতে গিয়ে বেশ কতগুলি জিনিস বিবেচনা করতে হয়েছে। যেমন এই মামলার সাজার মেয়াদ কত? সরাসরি কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন কিনা? তিনি তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী এবং ইডি র সমনের ভিত্তিতে হাজিরা দিয়েছেন কিনা?
আদালতে ইডি-র আইনজীবী এদিন জানান, ‘৭.৮৭ কোটি টাকা গোটা পরিবারের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে চিন, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, মিশর, ফ্রান্স-সহ একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন শতরূপা ভট্টাচার্য ও তার পরিবার। এমনটাই দাবি ইডির।দুর্নীতির টাকাতেই এই বিদেশ ভ্রমণ করেছে এই পরিবার। দাবি ইডির। যোগ্য প্রার্থীরা যখন রাস্তায় বসে কাঁদছে তখন এরা বিদেশ ভ্রমণ করছে। ইনি লেডি ম্যাকবেথ। স্বামী ও ছেলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে এই দুর্নীতিতে যুক্ত।’ ‘সমাজের উত্তরণের জন্য সুশিক্ষা প্রয়োজন, আর এরা সেটাই ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।’ সওয়াল ইডি’র।
শতরূপা ভট্টাচার্য র আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, “নিম্ন আদালতে ইডি কোথাও জানায়নি কেন শতরূপা ভট্টাচার্যকে হেফাজতে রেখে বিচারপ্রক্রিয়া সংগঠিত করা প্রয়োজন। ১.৪৫ কোটি টাকা ইডি শতরূপা ভট্টাচার্যর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। তাহলে এই টাকায় কী ভাবে বিদেশ ভ্রমণ করলেন শতরূপা? কতদিন তাকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে সেটাও বলতে পারছে না ইডি।- সওয়াল শতরূপার আইনজীবী।