আজ, বুধবার সকাল ৯ টায় সিবিআইয়ের একটি দল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পৌঁছয়। দলে ছিলেন সিবিআইয়ের ৩ আধিকারিক৷ দলে সাইবার এক্সপার্টও রয়েছেন৷ মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম ও ধ্রুব এই ৩ জন সিবিআই আধিকারিক এসেছেন প্রেসিডেন্সি জেলে৷ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ৷
আরও পড়ুন: মণিপুর থেকে নারী সুরক্ষা! ফের সরগরম হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা, কী পরিকল্পনা বিজেপির?
advertisement
২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরেই নতুন করে শুরু হয়েছে জলঘোলা। সবশুনে গোটা ঘটনাকে ‘ডিজাইনড কোরাপশন’ বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ কী এমন রয়েছে সেই অভিযোগে।
মামলাকারীর অভিযোগ, মূলত চারটি জেলা বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে এই দুর্নীতি হয়েছে৷ ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই চার জেলায় কোনও শূন্যপদ দেখানো হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই এই চার জেলার স্কুলে যাঁরা চাকরি নিতে ইচ্ছুক ছিলেন, তাঁদের দূরবর্তী কোনও জেলার স্কুল বাছতে হয়৷
মামলাকারীদের অভিযোগ, এরকমই দূরের জেলার স্কুল বাছার পরেই বিস্ময়কর ভাবে তাঁরা জানতে পারেন, ওই চার জেলায় ২৩ দিন পরেই শূন্যপদ দেখানো হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, সেখানে চারশো জন চাকরিপ্রার্থী নিযুক্তও হন৷
পছন্দের স্কুলে নিয়োগের বিনিময়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে মোট চার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে আদালত এ দিন সন্দেহ প্রকাশ করেছে অভিযোগকারী৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও আশঙ্কা, দালালের প্রাপ্য ধরলে এই দুর্নীতির অঙ্ক আরও বাড়বে৷
বুধবার সেই বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কেই মানিক ভট্টাচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর৷ জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জুলাই প্রথম বিজ্ঞপ্তি বের হয়৷ তারপর ৩০ জুলাই লিস্ট৷ এর মাঝে শূন্য পদের বিজ্ঞপ্তি৷ সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে মানিকের কী ভূমিকা ছিল? তিনি বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কী কী জানতেন? এই কয়েক দিনের মধ্যে কি টাকার লেনদেন হয়েছিল? অর্থাৎ, পরিকল্পিত ভাবেই কি ওই সব জায়গার ভ্যাকেন্সি দেখানো হয়নি, টাকার বিনিময়ে পোস্ট দেওয়া হবে বলে? সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই৷
দুর্নীতির এই নতুন মামলায় সিবিআই মানিককে আজ যে প্রশ্নগুলি করবে, তার উত্তর ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলরে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচাৰ্য যে বার বার তদন্তে অসহযোগিতা করতেন বলে অভিযোগ, এবার তার প্রমাণ রাখতে চান গোয়েন্দারা৷
গতকালের পরে আজ, বুধবার মানিক ভট্টাচাৰ্য সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে কী উত্তর দেন বা তদন্তে কতখানি সহযোগিতা করে সেদিকে এখন নজর গোয়েন্দাদের। কারণ, এই নতুন মামলায় কোনও রক্ষাকবচ নেই মানিকের, তাই তাঁর গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।