টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি, এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে টাকার বদলে পছন্দের পোস্টিং দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ গত মঙ্গলবার এজলাসে শুনানি চলাকালীন বিষয়টিকে ‘ডিজাইনড কোরাপশন’ বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এ বিষয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি৷
advertisement
সেই নির্দেশ মেনেই গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে মানিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকেরা৷ তারপরে ফের বুধবার সকাল ৯টার মধ্যেই মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কারাগারে পৌঁছয় সিবিআইয়ের তিন সদস্যের দল৷
এবার এই পোস্টিং-কাণ্ডে ইডি-ও নিজের তদন্ত শুরু করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর৷ সিবিআইয়ের এফআইআরের পরে এবার ইডি ইসিআইআর অর্থাৎ, এফআইআর করতে চলছে। কারণ, এই মামলায় মানিকের আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত করতে চায় ইডি৷
আরও পড়ুন: সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ’ইন্ডিয়া’র! বঙ্গে ওয়াকআউট বিজেপির, তপ্ত বাদল অধিবেশন
ইডি সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর আত্মীয়দের মোট ৬১ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে মোট ৭ কোটি ৮৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৩২ টাকা অর্থাৎ প্রায় আট কোটি টাকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, এই ৬১ টির মধ্যে ২৫ টি অ্যাকাউন্টের তথ্য গোপন করেছেন মানিক। এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে মানিক, তাঁর ছেলে, স্ত্রী সহ অন্য আত্মীয়দের নামে।
জানা গিয়েছে, এই নয়া পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ইডি মূলত মানিক ভট্টাচাৰ্যর আর্থিক লেনদেন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখবে। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে কোটি কোটি টাকার উৎস কী? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পোস্টিং দুর্নীতির টাকাও কী ঢুকেছিল কি না? মানিকের এই মানি ট্রেলের বিষয়টি তদন্ত করতে চলেছে ইডি।